পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু। א כיסא সুতরাং তাহার যথাপথ বা সুপথগমনে মুকাৰ্য্য হয়, আর বিপথ গমনে কুকাৰ্য্য বা অকাৰ্য্য এবং অকাৰ্য্যহেতু স্বকার্য্যের ব্যাঘাত হয়। এই অকাৰ্য্য এবং অকার্য্যজন্ত সুকার্য্যের ব্যাঘাতে আত্মিক অসতের সঞ্চার হেতু, মানবে পাপের সঞ্চার হইয়া থাকে এবং ইহারই নিমিত্ত মানব “স্বৰ্গনরকাদির” ভাগী হয়। যেমন মহাজ্ঞান হইতে মহাশক্তি চালিত হইতেছে, তেমনি মানবীয় জ্ঞান হইতে স্বেচ্ছাশক্তি চালিত হইয়া থাকে। এই কারণে, মানব সেই শক্তির সুপথ বা বিপথ গমনের নিমিত্ত দায়ী হওয়ায়, পুণ্যবান বা পাপী হইয়া থাকে ;– প্রাকৃতিক শক্তি মহাজ্ঞান হইতে চালিত হওয়ায়, বস্তুতঃ তাহা তজ্জাতীয় অসম্ভাৰপরিশূন্ত । তথাপি যে আমরা প্রকৃতিতে অসং ( অর্থাৎ বিকার বা ধ্বংস ) দেখিয়া থাকি এবং যে অসতের বিষয় অব্যবহিত পূৰ্ব্বে আলোচনা করিয়া আসিলাম, তাহা বস্তুতঃ রূপ হইতে রূপান্তর পরিগ্রহণে মধ্যবৰ্ত্তী অবস্থার সংজ্ঞাবিশেষ মাত্র । তাহাকে অসৎ বলিয়া বিবেচনা করার আরও এক বিশেষ কারণ এই যে, জীবের ভৌতিক ভাগ, প্রকৃতির অংশভূত হওয়ায়, যথাপরিমাণ সেই বিকারে বিকারভাগী হয় ; এবং জীবের চৈতন্ত্য অংশ, তাহার ভৌতিক ভাগসহ অচ্ছেদ্য সম্বন্ধ বিধায়, সেই বিকারে ক্লেশামুভব করিয়া থাকে । সাম্যাবস্থাতেই চৈতন্তের মুখ, বিকারে দুঃখ এবং দুঃখই সাধারণতঃ অসংপরিণাম বলিয়া গণিত হয়। এখন বলা বাহুল্য যে, উক্ত প্রাকৃতিক অসং যাহা, তাহা কেবল বহুবায়তন ও ক্রিয়া-দুৰ্দ্ধৰ্ষত হেতু এবং আমাদের ইন্দ্রিয়গণের বিষয়গ্রাহিতার ভাব হইতেও, যেন যথার্থ অসং বলিয়া প্রতীয়মান হইয়া থাকে। এই অসত্তেরই উন্মাদে, সাধারণ জ্ঞানিবৰ্গ হাতাকাত ছাড়িয়া নানারূপে উন্মাদিত হইয়া আসিতেছেন। একটা কাকুড়ে