পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু। 8 אסא ভাগে নানাবিধ নিৰ্য্যাতনে পাতিত হয়। ইহারই প্রভাবে দেশমধ্যে অতিবৃষ্টি, সুবৃষ্টি, ম্যালেরিয়ার দ্যায় সৰ্ব্বজনীন রোগাদি, দুর্ভিক্ষ অথবা সুভিক্ষ, সাধারণ স্বাস্থ্য ইত্যাদি ইত্যাদি অগণনীয় বহুতর ভৌতিক শুভাশুভের উপস্থিতি হয় এবং মানব ইচ্ছার অতীতেও পাশবদ্ধবৎ তাহার ফলভোগী হইয়া থাকে। এতাদৃক প্রাকৃতিক শক্তিকেই প্রকৃত পক্ষে অদৃষ্টক্রীড়া বলা যায়, এবং যাহা কিছু মানব অন্ধভাবে অদৃষ্ট্রের দাস, তাহা এইখানে। প্রাকৃতিক শক্তি এখানে মানবের আধিভৌতিক ভাগকে অবলম্বন করিয়া কাৰ্য্য করিয়া থাকে বলিয়া, উহার উপর মানবের স্বেচ্ছাশক্তির চালনা করিবার সম্বন্ধ অতি অল্পই ; এজন্ত মানব সে সকল বিষয়ে জবাবদিহিশূন্ত, এবং জবাবদিহিশূন্ত বলিয়াই ঐ ঐ বিষয়ে সে সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক শক্তির । ক্রীড়নকস্থলীয় হয় । কিন্তু মানবের তাঁহাতে নিজ প্রকৃতি বা আত্মিক পক্ষে আসে যায় কি ? সে যাহা হউক, বাঞ্ছারাম, ইহাই অদৃষ্ট, তদ্ভিন্ন আর দ্বিতীয় অদৃষ্ট, নাই এবং ইহার সহিত শ্রুতিপ্রোক্ত অদৃষ্টেরও কোন বিরোধ দেখা যায় না ; যেহেতু জন্মান্তরীণ কোন কৰ্ম্মজন্ত যে অদৃষ্ট, তাহ প্রাকৃতিক নিয়মের আকারেই কাৰ্য্য করিয়া থাকে । কিন্তু এ আলোচনার মধ্যে তোমার কল্পিত ও অবলম্বিত অদৃষ্ঠের পরিচয় কোথাও পাওয়া যায় না। ফতঃ তাহ মূল্যশূন্ত মিথ্যা অপবাদমাত্র। সে যাহা হউক, ইহাও যথেষ্ট দেখান হইয়াছে যে, অদৃষ্ট হইতে স্বেচ্ছাশক্তির অস্তিত্ব পৃথক্ । স্বেচ্ছাশক্তির অধিকার যতদূর লইয়া, ততদূরেই প্রকৃতপক্ষে কৰ্ত্তব্য-অকৰ্ত্তব্য জ্ঞান, হিতাহিত-বোধ, সদসৎ-জ্ঞান, ইত্যাদি, এবং সেই সকলের পুনঃ ভাবঅভাবে পাপপুণ্যের সঞ্চার ও জবাবদিহির উপস্থিতি হইয়া থাকে। স্বেচ্ছাশন্মির উপলব্ধি এবং প্রয়োগে, অর্থাৎ আত্মিকবৃত্তির পরিচালনে,