পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । |ల్ని ' নিতান্ত ক্ৰৱকৰ্ম্ম যে, সেও শ্রদ্ধা এবং ভক্তির পাত্র হইয়া থাকে। তাহার কারণ, কাল সহ তাহার অসৎ-ভাব বিলয় পাইয়া গিয়াছে ; নিত্যস্থায়ী একমাত্র সংrভাব কেবল এখন নয়নপথে উদিত হইতেছে,— সৎ-ভাব কবে কাহার না পূজনীয় ? কবে কাহার না ভাল লাগিয়া থাকে ? অসং পদার্থ অনিত্য এবং মিথ্যা ; প্রতি কাল পরিবর্তনে আবশুকতার পরিপূরণসহ ধ্বংস হইয়া যাইতেছে। এই অসৎ পদার্থ মানবীয় বিভিন্ন ধারণশক্তির তারতম্য অনুসারে, জরথুস্ত্রের নিকট অংগ্রমইনু, মুসা ও মহন্ধদের নিকট শয়তান, বৈদান্তিকের নিকট অবিদ্যা, ইত্যাদি নানা আকার ধারণ করিয়াছে। জ্ঞানধৰ্ম্মাদি পর্বে আস্তিকতা সেই সৎ, নাস্তিকতা সেই অসৎ ; সুতরাং নাস্তিকতা না থাকিলে চলে কই ? জ্ঞানসংসার অসম্পূর্ণ থাকিয়া যাইত। আস্তিকতা আধ্যাত্মিক গুণময়ী বটে, কিন্তু উহাও, শারীরী আত্মার অবলম্বনভূত হওয়ায়, ভাবে এবং উৎকর্ষ-অপকৰ্ষাদির প্রকরণাদিতে ভৌতিকধৰ্ম্মী ; অপরাপর পদার্থ বা মানবীয় চিত্তের অপরাপর গুণ পদার্থের ন্যায়, উহাও শক্তিবশে গতিশীলতা, অগ্রগমন এবং স্ত্রর বিষয়ীভূত। অতএব উহার বৈপরীত্যসাধক নাস্তিকতা না থাকিলে, সেই সেই অগ্রগমন বা শ্ৰীধারণ প্রভৃতি সম্পন্ন হইতে পারিত না । মানবীয় অপরাপর গুণ ও জ্ঞানের দ্যায় আস্তিকতারও পর পর ঔৎকর্ষপ্রাপ্তির প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু এ সকল প্রয়োজনীয়তা—এ সকল নষ্টামির মূল, দৃষ্টিরোধক কাল ; কালের ধ্বংসে সমগ্র সৎ পদার্থ দৃষ্টিপথে জাজীল্যমান হইলে, আর অসং পদার্থের প্রয়োজন হইত না । অসৎপ্রয়োগই কালগৰ্ত্ত হইতে সৎ উদ্ধারের একমাত্র উপায়। যতক্ষণ আমাদের কালবক্ষে স্থিতি, ততক্ষণ আসতের আবশুকতা অপরিহার্য্য। বাঞ্ছারাম, তুমি বলিবে, সতের