পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●●● গ্রীক ও হিন্দু । ক্রুরবুদ্ধি ও পশিবভাব, অপরাপর পশুর স্তায় মানবেও সমান, অথবী মানব উচ্চ স্থই হেতু আরও অধিক পরিমাণে নিহিত রহিয়াছে। পশু হইতে মানবের পার্থক্য, কেবল জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম লইয়া । এই জ্ঞান এবং ধৰ্ম্মই, স্বীয় শাসনবলে পাশবভাবকে প্রশমিত করিয়া, মানবকে প্রকৃত মনুষ্যত্বপথে লইয়া আসিতেছে। অবশ্য এমন প্রত্যাশা করিতে পার না যে, জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম, কাল ও ক্রমের অপেক্ষা না রাথিয়াই সহসা স্বীয় শাসনকে এমন প্রবলতর করিয়া তুলিবে যে, মানবের আত্মিক ক্রমোংকর্ষের সহিত সমতা ও সামঞ্জস্ত অতিক্রমপূৰ্ব্বক একেবারেই স্ব স্ব ভাবাধিপত্যের পূর্ণ ফল ফলাইতে সমর্থ হইতে পরিবে। আমরা দেখিতেছি, প্রকৃতি কোন কাৰ্য্যই সহসা এবং সামঞ্জস্তচু্যত হইয়া নিম্পাদন করেন না –তিনি করেন ধীরে ধীরে, আস্তে আস্তে, ক্রমে ক্রমে, অতর্কিতভাবে এবং দেশ কাল ও ক্রমপরিণতি সহ গতির সমতা রাখিয়া । কালের গতি ও পরিণতি সহ যতই মানব পশুত্বত্যাগে মনুষ্যত্বপথে অগ্রসর হইতেছে, ততই জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের শাসন দৃঢ় হইয়া আসিতেছে । এ সংসারে, আদিম অবস্থার শাসন পূর্ব পূৰ্ব্ব মুথে যেমন ক্রমে শিথিল, পরবর্তী অবস্থার শাসন উত্তরোত্তর মুখে তেমনি আয়ত্তকরী হইওয়াতে, মনুষ্যের মনুষ্যত্ববিষয়ক অবস্থান্তরসকল সংঘটিত হইয়া আসিতেছে ; এবং এই জন্তই, বাঞ্ছারাম, একজন আদিম অসভ্য ও তথা হইতে পর পর তোমা পৰ্য্যন্ত, মনুষ্যত্ব ভাবের এত তারতম্য লক্ষিত হইয়া থাকে। পাশব বল সৰ্ব্বদাই অন্ধ এবং আত্মবলদৃপ্ত, সুতরাং সহসা শৃঙ্খলাবন্ধ হইতে চাহে না ; এই জন্য, ধৰ্ম্মের নামে এ জগতে কথিত যে সকল কুকাণ্ডের বিস্তার দেখিতে পাই, তাহা বস্তুতঃ ধৰ্ম্মের ফল নহে—তাহা ধৰ্ম্মশাসনের প্রতি পাশব ভাবের বিদ্রোহীচরণের ফল বা পাশব ভাবের ষে অংশটুকু