পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ‘එළැ` করিতেছে। মুখ পদার্থকে একমাত্র মুখ্য উদ্দেশু করিলে এবং মুখপদার্থ কি তাহার ধারণা ও ধারণমূল প্রকৃত না হইলে, কাজেই এরূপ ঘটনা অবশুম্ভাবী। কেবল জীবনমুখান্বেষীদিগের মুথের ধারণা সাধারণতঃ বাহ সম্পদ বা ভোগে নিহিত; লোকেও সদসং নানা পথে জীবন মন বিক্রয় করিয়া তাহার অনুসরণ করিয়া থাকে ; কিন্তু হায় ! তথাপি আমরা দেখিতে পাই যে, তাহাতে তাঁহাদের অসুখ পদার্থের কিছুমাত্র নূ্যনত হয় নাই ; সুতরাং এরূপ সুখের ধারণা ও তদনুসরণ প্রণালী এ দুইই যদি প্রকৃত হইত,তাহা হইলে তাহাতে এরূপ সুখের ফল ফলিবে কেন ? এদিকে কিন্তু প্রকৃত মুক্ষদশী যাহারা,র্তাহারা সৰ্ব্বদাই দেখিয়া থাকেন যে, অপার সম্পদে ও ভোগেও মানব অমুখী, অথচ অসম্পদে ও অভোগেও অনেক মানুষ সুখী । ইহার কারণ ? বাঞ্ছারাম, স্বঘ বাহ সম্পদে বা ভোগে নহে, এবং সুখও ক্ষণিক চিত্তোম্মাদ নহে। চিত্তের যে তৃপ্তি, যাহাঁকে চিত্তপ্রসাদ বলে, তাঁহাই প্রকৃত সুখ । সে সুখ একমাত্র সাত্ত্বিক বুদ্ধি ও কৰ্ত্তব্যসাধনের দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া যায় । যাহার জীবন, যথেষ্ট ধারণা অনুরূপ, আমূলতঃ সাত্ত্বিক এৰুং কৰ্ত্তব্যপরায়ণ, তাহার চিত্তপ্রসাদ সৰ্ব্বক্ষণ এবং সেই ব্যক্তি কেবল এ জগন্ধে প্রকৃত পক্ষে মুখী। মুখ কৰ্ত্তব্যসাধনের মজুরীস্বরূপ। কৰ্ত্তব্যবুদ্ধির অপেক্ষ না রাথিয়া মুখের প্রার্থনা করা, আর মজুরের কার্য্য না করিয়া মুজুরি প্রত্যাশা করা, উভয়ই সমান। জ্ঞানীরা মুখের মূল স্বরূপ কৰ্ত্তব্য-সাধনকে জীবনের উদ্দেশ্য ভাবিয়া থাকেন, এবং মুখের প্রতি লক্ষ্য না রাথিয়াই তাহার অনুসরণ করেন ; এই জন্য র্তাহীদের দ্বারা জগতও স্থায়ীরূপে উপকৃত হয়, অথচ সুখও তাহাদের অযাচিতের ন্যায় প্রাপ্তি হইয়া থাকে । কৰ্ত্তবাবুদ্ধদ্ধির অভাবে ষে মুখের ধারণা, তাহা মূলশূন্ত ধারণা, সুতরাং যদৃচ্ছা-কল্পিত ও বিকৃত।