পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুচর্থ প্রস্তাব । כטיא শেষ শিক্ষা কি ? (২) “স্বৰ্গও নাই, অপবর্গও নাই, পরলোকগামী আত্মাও নাই। বর্ণ (৩) আশ্রমাদির ফলদায়িকা যে কোন ক্রিয়া, তাহাও কিছু নাই। অগ্নিহোত্র, বেদত্ৰয়, দণ্ডধারণ ও ভস্মগুণ্ঠন, এ সকল বুদ্ধিপৌরুষ ব্যক্তিদিগের উপজীবিকা মাত্র। জ্যোতিষ্টোমে নিহত পশু যদি স্বর্গে গমন করে, তবে যজমান কি জন্য আপন পিতাকে সেইরূপে হিংসা না করিয়া থাকে ?—( যেহেতু পিতাকে স্বর্গে পাঠানর পক্ষে উহা অতি সহজ উপায় ) । যে সকল জীব মৃত, শ্রাদ্ধ যদি তাহাদের তৃপ্তির কারণ হয়, তবে এখান হইতে দূরগামী ব্যক্তির পাথেয় কল্পনা করার আবশ্বকতা কিছুই নাই। এখান হইতে কৃত দানে যদি স্বর্গস্থিত ব্যক্তির তৃপ্তিলাভ হয়, তবে এখানে প্রদত্ত দ্রব্যে প্রাসাদোপরিস্থিত ব্যক্তির তৃপ্তিলাভ ন হইবে কেন ? অতএব সে সকল কোন কাজের কথা নহে। যতকাল বঁচিবে, মুখে কাটাইবে, এবং ধার করিয়াও যদি ঘূতাদি সুখকর দ্রব্য থাইতে হয়, তাহাও খাইৰে ; কারণ এই দেহ একবার ভস্মীভূত হইলে আর তাহার ফিরিয়া আসিবার সম্ভাবনা নাই। যদি আত্মা এই দেহ পরিত্যাগান্তে পরলোকে যাইতে পারিত, তবে কি জন্ত সে বন্ধুস্নেহসমাকুল হইয়া পুনঃ পুনঃ না আইসে ? মৃত ব্যক্তির প্রেতকার্য্যের আর কোন অর্থ দেখিতে পাই না, কেবল এক ব্রাহ্মণদিগের জীবনোপায় বলিয়াই ২ । সর্বদর্শনসংগ্রহ-ধৃত বৃহস্পতিবাক্য । এ অবগুই নকল বৃহস্পতি, ' ८लयसङ्ग नप्श्न । ৩ । নাস্তিকদিগের পক্ষে বর্ণাশ্রমাদি স্বীকার করিবার কোন অবিশুকতা নাই, এবং তাহারা স্বীকারও করে না । বর্ণাশ্রমাদি যে সিদ্ধ নহে, নাস্তিকের প্রদর্শিত তদ্বিষয়ক কারণ বা বিচার নৈষধকার চাৰ্ব্বাকের মুখ দিয়া এরূপে প্রকাশ করিয়াছেন,— “ শুদ্ধিৰ্বংশ স্বল্পী শুছোঁ পিত্রোঃ পিত্রোর্বদেকশঃ । তদনন্তকুলাদোষাদ্ধদোবা জাতিরস্তিকা ॥”—নৈষধ, ১৭ সৰ্গ ।