পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ©ፃ » যাহার মূল, সে তত্ত্ব কখনই সুফল প্রসব করিতে পারে না। ফল সৰ্ব্বদা মূলেরই ধৰ্ম্ম অনুসরণ করিয়া থাকে ! এক্ষণে দেখা যাউক নাস্তিকতত্ত্ব, বিভিন্ন জাতীয় প্রকৃতি অনুসারে, কিরূপ বিভিন্ন প্রকৃতির হইয়াছে এবং কতদূর তাহা তত্তং জাতীয় জীবনের উপর আধিপত্য ও তাহাকে চালিত করিতে সমর্থ হইয়াছে। গ্রীক নাস্তিকতত্ত্ব বহুলাংশে প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের আশ্রয়ে গঠিত ; আর হিন্দু নাস্তিকতত্ত্ব, হিন্দুর আস্তিক্য ও আধ্যাত্মিক তত্ত্বপাশ্বে বৈপরীত্য সমাবেশ-স্বরূপ মাত্র ; প্রথমটি বিজ্ঞান-প্রাণ, আর দ্বিতীয়টি স্বাত্ম-চিন্তা-প্রাণ। আরিষ্টিপুস ও তদীয় সাম্প্রদায়িক থিওডোরুস প্রভৃতির যে নাস্তিকতা, তাহা ষণ্ডামির নাস্তিকতা এবং এপিকু্যরসের যে নাস্তিকতা, তাহ ভয়ের তাড়নে নাস্তিকতা । বলা বাহুল্য যে, ইহারা সমস্তই গ্রীক প্রকৃতির সহ সমধৰ্ম্মী এবং ঐক্লপ প্রকৃতি হইতে ঐক্কপ ফলই আশা করা গিয়া থাকে। আরিষ্টিপুসের সময় লোকের মনে পরিষ্কার পারলৌকিক-অস্তিত্ব-জ্ঞান কেবল প্রতিভাত হইয়াছিল মাত্র। সক্রেটসের দ্বারা উহা পূর্ণভাবে উপলব্ধ হইয়৷ প্লেটো কর্তৃক যখন তর্কতত্ত্বাদি দ্বারা সম্প্রসারিত হইয়াছিল, সেই সময়ে আরিষ্টিপুসের নাস্তিকতা যেন তাহার প্রতিহিংসা ও প্রতিদ্বন্দীস্বরূপে উপস্থিত হয় এবং প্লেটোর দ্বারা যে পরিমাণ সতের মহিমা কীৰ্ত্তিত হইতেছিল, উহার সেই পরিমাণে অসৎকে বাড়াইয়া তাহাকে আসন প্রদান করিতে থাকে। এপিকু্যরসের সময়ের ভাব ভিন্নতর ; তখন কি পরলোকবুদ্ধি, কি সামাজিক বুদ্ধি, উভয়েই ঘোর, বিশৃঙ্খল ও ভয়সস্কুল ভাব ধারণ করায়, তাহা হইতে যেন মুক্তির উপায় স্বরূপ এপিকু্যরসের নাস্তিকতার উৎপত্তি হয় । মত এবং কথার ভয়ের হাত ছাড়াইলেও, ভয় হেতুক আজন্মবৰ্দ্ধিত যে সংস্কার, তাহার হাত