পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব । * \בס C° পড়িলে, আনুষ্ঠানিক আকার ধারণ করিয়া থাকে। ইহার ফল এই, যে কোন বিষয় হউক, তৎসম্বন্ধে হিন্দুর তত্বভাগ যেমন ভাল, কৰ্ম্মভাগ তেমন সুসম্পাদিত নহে, বরং অনেক স্থলে কুসম্পাদিত বলিলে বলা যায় ; আর গ্রীকের তত্ত্বভাগ যেমন ভাল নহে বটে, কিন্তু কৰ্ম্মভাগ অতি সুসম্পাদিত ও নয়নতৃপ্তিকর। হিন্দু ভাবিতেন উচ্চ, বুঝিতেনও উচ্চ । কিন্তু কাৰ্য্যে তাঁহা তেমন পরিণত করিতে পারিতেন না ; গ্রীক ভাবিত অপেক্ষাকৃত সামান্ত, বুঝিতও অপেক্ষাকৃত সামান্ত, কিন্তু কার্য্যে তাহা ধারণার অতিরিক্ত সুসম্পাদিত করিত বলিলে নিতান্ত অসঙ্গত হয় না । এই নিমিত্ত গ্রীকের চাকচিক্য এত অধিক এবং এই নিমিত্ত হিন্দু উচ্চ হইয়াও নিদর্শনশূন্ত । উপপাদ্যরীতি যুক্তিমাৰ্গ অৰলম্বন করিয়া, যখন যেখানে উপনীত. হয় ও যাহা লক্ষ্য করে, তখন তদন্বয়ে পরিণামও শুভাশুভ গণনাপূৰ্ব্বক ফলাকর্ষণ করিয়া থাকে। হিন্দুরাও তাঁহাই করতেন ; তঁহাদের নিকট, কি বিষয়স্থাপনে কি বিষয়সংশোধনে, ব্যবহার অপেক্ষা যুক্তিই অধিক বলবতী ছিল। হিন্দু শাস্ত্রাদি প্রধানতঃ এই যুক্তিতত্ত্বের উপর স্থাপিত। কিন্তু হিন্দু জ্ঞানিগণ সাধারণ লোকবর্গকে যুক্তিমার্গে বিঘূর্ণিত না করিবার অভিপ্রায়ে হউক বা যে কোন কারণে হউক, ফলাকর্ষণের আকর্ষণপ্রণালী অর্থাং যুক্তিমাৰ্গ পরিত্যাগ করিয়া, ফলটিমাত্র বিধিনিষেধ আকারে শাস্ত্রনিবন্ধ করিয়া গিয়াছেন। ( ১ ) ১ । আকৰ্ষিত ফল বিধিনিষেধে নিবদ্ধ হওয়ায়, আকর্ষণপ্রণালী সকল সময়েতেই যে বিলুপ্ত হইয়া যাইত, ঠিক তাহা নহে । অনেক বিষয়ে, আকর্ষণপ্রণালী ও তদানুষঙ্গিক তত্ত্বসকল কেহ জানতে ইচ্ছা করিলে, শিষ্যত্ব আচরণের দ্বারা সাম্প্রদায়িক গুরুর নিকট জানিতে পারিত। পুরাকালে লিখনকার্য্য সংক্ষেপ করিবার জন্যই হউক বা লিখনপ্রণালীর বিরল প্রHরকেতুই হউক, বা যে কোন কারণেই হউক, ভিতরের কথাসকল গুরুষুখে শুনিয়া ও বুখিয়া, মুখ্য কথা বাহ!