পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

18సెb औक ७ श्नूि । জীবনান্ত যথায় পণ এবং জীবনই যখন তদুদেশে, তখন সমাজের মুখ্যাতি বা অখ্যাতি দৃষ্টে রতি বা বিরতির বিষয় কি হইতে পারে ? ফলত; যাহা ঈশ্বর সকাশে কৰ্ত্তব্য বলিয়া বিবেচিত ও অবধারিত, দক্ষিণে বামে না তাকাইয়া অক্লিষ্টচিত্তে তাহা সম্পাদন করিয়া যাইবে ; তাহতে সমাজ অমুকুল বা প্রতিকুল যাহাই হউক, তৎপ্রতি ক্ৰক্ষেপ করিবার কিছুমাত্র প্রয়োজন নাই। হইতে পারে, সমাজ এখন তোমার প্রতিকুল ; কিন্তু যখন তোমার কার্য্য সমাজের হিতকারিরূপে উদ্ভাসিত হইতে থাকিবে এবং যখন সমাজ তোমার কার্য্য ও কাৰ্য্যমূল বুঝিতে ও অনুভব করিতে পরিবে, তখন সমাজের সঙ্গে তোমার আপনা হইতেই মিলন হইয়া যাইবে । সাত্ত্বিক নীতিপ্রস্থত সাত্ত্বিক কাৰ্য্যসহ পরিশেষে সমাজের এইরূপ মিলনই ঘটনা হইয়া থাকে, কখনও তাঁহাতে ব্যতিক্রম হয় না। ওরূপ মিলনের জন্য কিছুমাত্র যত্ন বা চিন্তা করিতে হয় না, প্রাকৃতিক নিয়মে তাহা আপনা হইতেই ঘটনা হইয়া থাকে। সুপথ সৰ্ব্বদাই সহজ, তাহাতে চিন্তু কৌশল বা কুট-কচাল কিছুই নাই ;– সে সকল বিপরীত পথের সম্পত্তি। পুনশ্চ, ব্যক্তিবিশেষ ষেরূপ, সেইরূপ সমাজও যখন কৰ্ত্তবাবুদ্ধিযুক্ত সাত্ত্বিক প্রকৃতির হয়, তখন সমাজস্থগণের পরস্পরের মধ্যেও আর অমিল ঘটনা হয় না ; তথন পরম্পরের কার্ষ্য, পরস্পরের সহায়তাসাধক হওয়াতে, অতি মহৎ সামাজিক কাৰ্য্যসকলের উৎপাদন করিয়া থাকে। সমাজস্থগণ, অন্ততঃ তাহদের অধিকাংশভাগ, সুনীতিসম্পন্ন ও কর্তব্যপরায়ণ হইলেই, সমাজকে সাত্বিক প্রকৃতযুক্ত বলা যায়। , এই জগৎ যাহাদিগের দ্বারা এ পর্য্যন্ত স্থায়িভাবে উপকৃত হইয়৷ আসিয়াছে, সে সমস্ত মহাপুরুষেরই নীতি এবং কৰ্ম্মমূল এই ঈশ্বরকৃত