পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । 88) নিয়োজনবোধ । ফলতঃ যেমন মহৎ বা মহত্তর হউক, এই নীতিমূলের অবলম্বন ব্যতীত, কখনও তাহ সম্ভবপর হইতে পারে না। এ পথের পথবাহকদিগের মধ্যে উচ্চতম আদর্শ, বুদ্ধ, খৃষ্ট, মহহ্মদ প্রভৃতি। মানবমণ্ডলীতে ইহাদের অপেক্ষ উচ্চতম আদর্শ আজি পৰ্য্যন্ত প্রদত্ত হয় নাই । 弘 দ্বিতীয়তঃ, সমাজকৃত নিয়োজনবোধ । ইহার মূলস্থানে পার্থিব স্বার্থ। এই স্বার্থের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ক্রিয়াভেদে, এ পথ দ্বিবিধ ভাগে বিভক্ত হয়। এ দুয়ের মধ্যে স্বার্থের পরোক্ষ । ক্রিয়াপথই শ্রেষ্ঠ । পরোক্ষ স্বার্থের অধীনে, মানুষ এরূপ বুদ্ধিতে কৰ্ম্মপ্রবৃত্ত হয়,—সমাজের সর্বাঙ্গীন উন্নতি ব্যতীত, আমার ও আমার নিজজনের উন্নতি কখনও পূর্ণ ও স্থায়ী হইতে পারে না ; অতএব সামাজিক মঙ্গলসাধনের প্রতিই সৰ্ব্বাগ্রে দৃষ্টিপাত করা বিধেয়। সামাজিক মঙ্গল সাধিত হইলে, আমারও যে কিছু মঙ্গল সাধ্য, তাহা সম্ভবপর, মুসাধিত ও বদ্ধমূল হইতে পরিবে । পুনশ্চ, “যদি তোমার আপনাতে হিত বাঞ্ছা থাকে, তবে যথাসাধ্য পরহিতসাধনে ব্ৰতী হও” এবং "যেরূপ আপনাতে কৃত হইতে বাঞ্ছা কর, সেইরূপ অন্যের প্রতি করিও”,—এ কথাগুলির প্রভুত্বও এখানে বিপুল। যদিও গণনায় গুরুতর নহে, কিন্তু সামাজিক কাৰ্য্যপ্রবৃত্তির আরও একটি স্বত্র আছে।—কতকগুলি লোক আছে, যাহাঁদের প্রধান মুখ নিজ নিজ মতের প্রকাশে ও প্রশ্রয়ে ; এখন সে উদেশু, সামাজিক কার্যে লিপ্ত না হইলে, পূর্ণভাবে সুসিদ্ধ হইতে পারে না। এই মতামভপ্রিয় লোকেরাই সাধারণতঃ সমাজের নেতা হইবার স্পৰ্দ্ধ করিয়া থাকে এবং অনেক সময়ে তাহাদিগকে তাহাতে কৃ ইইতে দেখা যায়। & o