পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাৰ। " :הכי আড়ম্বর এতদুভয়ের মধ্য পথ অবলম্বিত হইয়া থাকে। হিন্দুসস্তানের মুখ্য উদ্দেশু যাহা এবং কৰ্ম্মধারণা যতদূর, তদনুসারে সংসারমদে না মাতিয়া ধৰ্ম্মচৰ্য্যা দ্বারা পরলোকের পথ পরিষ্কার করাই কেবল যুক্তিসিদ্ধ। যে জাতি মানবীয় ইহ জীবনের মূল্য এইরূপ ভাবে অবধারণ করে, চিন্তা এবং কল্পনাপ্রস্থত বিষয় যাহার নিকট প্রধানতঃ পরম আদরের বস্তু, সে জাতির মধ্যে জাতীয় ইতিহাস বা লোককীৰ্ত্তিগাথাও বড় একটা থাকিবার সম্ভাবনা নাই। অন্যান্ত জাতির কথা কি বলিব, মেক্‌সিকোর নরমাংসভোজী আদিম অধিবাসীরাও এ জগতে আপনাদের প্রাচীন পুরাবৃত্ত প্রদান করিয়া গিয়াছে। কিন্তু হিন্দুসস্তান এত সুসভ্য, এত ধৰ্ম্মশীল এবং এত বিদ্যাবান হইয়াও তাহ পারিয়া উঠেন নাই। হিন্দু বিদ্বানের ইতিহাস লিখিতে বসিলে যে লিখিতে পারিতেন না এমন নহে, বরং উৎকৃষ্টরূপেই লিখিতে পারিতেন — কিন্তু আদৌ ইতিহাস বলিয়া যে একটা বস্তুর অস্তিত্ব সম্ভব হইতে পারে বা তাহার কোন মূল্য আছে, ইহাই তাহাদের ধারণার ভিতরে আইসে নাই। ইহারা যেরূপ ইতিহাস লিখিতে পটু এবং ভালবাসিতেন, তাহাই লিথিয়া গিয়াছেন, যথা ;–অষ্টাদশ পুরাণাদির গাদা । এক্ষণে গ্ৰীকজাতির প্রতি নিরীক্ষণ কর ; কেমন বিভিন্ন চিত্র দেখিতে পাইবে । আধ্যাত্মিকতা তিলক ছাপাতেই শেষ ; বাকী,— রসের তুফানে যেখানে থাকি সেই বাড়ী। পরলোক বলিয়৷ পিছুটানের মমতা বড় একটা নাই, সুতরাং কেন ও কাহার জন্য অধিক সঞ্চয় করিব ? এই পৃথিবীই স্বৰ্গ, এই পৃথিবীই মৰ্ত্ত ; এইখানেই নাম, এইখানেই পরিণাম ; অতএব যাহা পাই, যতদুর সাধ্য খাইয়া পরিম আমোদ করিয়া লই, পরে আমার তা কে খাইবে । দেশের সঙ্গে কোন সম্বন্ধ নাই, অথচ দেশের কথা এক একবার মনে হইলে হৃদয়