পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b" গ্রীক ও হিন্দু। স্থাপিত হইয়াছে, তখনই সে অত্যাচার অন্তৰ্হিত ও শূদ্ৰগণ সমাজমধ্যে গণনীয় পদ প্রাপ্ত হইয়াছে । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, আর্য্যগণ ভারতে আসিবার পূৰ্ব্বে, গ্রীকদিগের অপেক্ষা সভ্যতাধিক্য সহ সম্ভবতঃ অধিক পরিমাণে অনুভব ও কল্পনা শক্তি লাভ করিয়া আসিয়াছিলেন । তাহা কার্য্যে খাটাইবার পদার্থও এখানে এখন তাহারা গ্রীকদিগের অপেক্ষ প্রচুর পরিমাণে পাইলেন। ভারতের প্রকৃতি যেমন ভয়ঙ্করী ও সৰ্ব্বদিকে ধারণার অতীত বিপুল, তাহার মূৰ্ত্তিও আবার তেমনি বিশাল ও সৰ্ব্বপ্রকারে চিত্ত-উন্মাদনকারি বিরাটবেশযুক্ত ৷ এক দিকে যেমন মেঘ বিদ্যুৎ বায়ু অরণ্যানী প্রভৃতি নিসর্গমূৰ্ত্তি ভীতি উৎপাদন করিতেছে ; অন্য দিকে তেমনি স্বৰ্য্য চন্দ্র ও খামলশোভাপূর্ণ বসুন্ধর আদি হর্ষের কারণ হইতেছে ; আবার একধা সমগ্র জাগতিক মূৰ্ত্তি সুমহং বিস্ময়রসে ও বিশালতায় চিত্তকে আনত করিয়া ফেলিতেছে। এমন স্থলে আর্যচিত্ত যেমন এক দিকে অপরিমিত ভয় তেমনি অন্ত দিকে তাহার সমতুল অপরিমিত ভক্তি ; আর এক দিকে আবার একধা সমগ্রদর্শনে, আপনার নগণ্যত্ব এবং অনৈসর্গিক শক্তির সৰ্ব্বশক্তিমানত্ব, পদে পদে অনুভব করিতে লাগিলেন । ক্রমে অমুভাব্য বিষয়ে কুল পাইবার আশায়, অপার কল্পনাপথে প্রধাবিত হইয়া ছুটলেন । এ কল্পনার পথধাবনে ক্ষান্তিও নাই, বিরামও নাই ;–এক ক্ষান্তি যাহা কিঞ্চিৎ হইতে পারিত আহাঁরচিন্তাহেতু কাৰ্য্যাস্তরে ব্যাপৃতি জন্য, কিন্তু তাহারা যে রত্নপ্ৰসবিনী ভূমিতে পদার্পণ করিয়াছিলেন তাহাতে আহারীয় পদার্থের জন্য ক্ষণমাত্রও চিন্তা করিবার কথা নহে। তখন অন্য বিলাসবস্তুরও উদয় হয় নাই যে, তাহার জন্য সময় ব্যয় করিবেন । লোকে বলিয়া থাকে যে