পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব 8ੇ। আহারবিষয়ক মানবীয় সামান্ততর পাশব অভাব সকল পূরণ হইলে, তদ্বারা যে অবসরকাল পাওয়া যায় ; তাহ প্রধানতঃ সাংসারিক উচ্চ অভাবের উদ্ভাবন ও তাহার পূরণকার্য্যে ব্যয়িত হইয়া থাকে এবং সেই স্থত্রেই, বিলাসাদির বিস্তারসাধন এবং সাংসারিক উন্নতি ও সভ্যতাও ক্রমে বৰ্দ্ধিতায়তন হইতে থাকে । কিন্তু ভালই হউক বা মন্দই হউক, আৰ্য্যদিগের সম্বন্ধে সে কথা খাটে নাই ; তাহাদিগের পক্ষে সে অবসরকাল এখানে আর এক রকমে ব্যয় হইতে চলিল । সাংসারিক দিকে যে অবহেলা তাহারা আদি হইতে প্রদর্শন করিয়া ছিলেন এবং তজ্জন্য উদ্যোনী, উদ্ভাবনী শক্তি ও অনুষ্ঠানাদি যে হীনতা প্রাপ্ত হয়, তাহার প্রমাণ বংশপরম্পরাগতে আজি পৰ্য্যন্তও যে কিছু না পাওয়া যায় এমন নহে ;–এই দেখ, যে কৃষি-প্রণালী বৈদিক সময়ে আরম্ভ হইয়াছিল, বোধ হয় এ পর্য্যন্ত তাঁহাই হিন্দুদিগের মধ্যে অক্ষুন্নভাবে চলিয়া আসিতেছে। যাহা হউক, তথাপি অতি প্রাচীন হিন্দুসময়েতেও, বহুবিধ উত্তমোত্তম ৰিলাসের বস্তু আদির উল্লেখ এবং বহুলাংশে সামাজিক ও সাংসারিক সুনিয়ম ও সুশৃঙ্খলা সকলও দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার কারণ ? —আর্য্যশক্তি যে নিতান্ত তীক্ষ, এবং ভগ্নপদ হইলেও তাহার ক্রিয়াশক্তি যে বিপুল, উহা কেবল তাঁহারই পরিচায়ক ;–উহা কেবল র্তাহাদিগের আংশিকমাত্র ক্রিয়াশক্তিপ্রয়োগের ফল। পূর্ণশক্তি বরাবর প্রযুক্ত হইয়া আসিলে, কালে না জানি আরও কি হইত ! কিন্তু হায় ! সেই পূর্ণশক্তিপ্রয়োগের অভাবেই, ভারতে বড় বড় শোভাময় ফুলে শেষে কণ্টকময় ধুতুর ফলের জন্ম-অভিনয় দেখিতে পাওয়া যায়। হর্ষের কারণ অপেক্ষণ ভয়ের কারণ যে সমস্ত, তাহারাই সাধারণতঃ মানবচিত্তের উপর অধিক আধিপত্য করিয়া থাকে ; বস্তুতঃ