পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । ©ቈፃ অভাবহেতু পরিবর্তনবিরহিত ছিল ; এই জন্তই ইহারা কখনও যুদ্ধপ্রিয় জাতি ছিল না এবং বোধ হয় এই কারণেই, তাহদের বীরকীৰ্ত্তি স্বয়ং বিপুল হইলেও, অন্তান্ত পুরাতন জাতির তুলনায় অতি সামান্ত, সুতরাং তাঁহাদের সমকক্ষতায় আসিতে পারে নাই। ভারতীয়েরা স্বয়ং যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইতেন অতি অল্পই ; তবে কেহ আহবান করিলে, তাহতেও পশ্চাৎপদ হইতেন না। তাহার পর, যে জাতি এক পা হাটে, আর এক একবার উচ্চ লোকের স্মরণে আকাশ পানে তাকাইয়া দেখে ; যে জাতি জাগতিক ব্যাপার দেখিয়া আপনাতে আপনি জ্ঞানশূন্ত এবং তাঁহার স্বত্র অনবগতে সতত চিন্তাকুল ; তাহার পক্ষে কোনরূপে উদর পোষণ ও কলেবর ধারণ হইলেই সাংসারিক ব্যাপার যথেষ্ট সাধিত হইল। সুতরাং ইহারা লোকসাধারণনিৰ্ব্বিশেষে কেন রাজনীতির ধার ধরিবে ? তুমি রাজা হইতে চাও হও, আমি তাহাতে সম্মত আছি ; কিন্তু দেখিও, আমি যে শাস্তি চাই, তাহার হানি করিও না, তাহা হইলে আর কোন গোল হইবে না, নতুবা গোলমাল বাধিতে পারে। এরূপ গোলমাল পরিহার করা সহজ। সুতরাং হিন্দু রাজারা কেবল শাস্তিভোগ করিতেন না, শাস্তির উপর অধিকন্তু আবহমান কাল যথেচ্ছাচার এবং একাধিপত্যও নিরুদ্বেগে করিয়া আসিয়াছেন। গ্রীকদিগের ঘরে তাহার বিপরীত। যখন যেমন লোক ও লোকের মনোভাব, শাসনতন্ত্রকেও তখন তেমনি পরিবর্তিত ও প্রচলিত হইতে হইয়াছে। হিন্দুদিগের ইহলোকবিতৃষ্ণ ও সাংসারিক বিষয়ে আস্থাশূন্তত, পরলোক-দৃষ্টিবদ্ধ ভাব ও জাগতিক নশ্বরতাবুদ্ধি, যাহা কালপরম্পরায় তাহাদিগকে ক্রমে জুজুর ন্যায় করিয়া তুলিয়াছিল, তাহ এক সময়ে একবারমাত্র কিয়ৎ পরিমাণে ভঙ্গ হয়। ঐ সময় বৌদ্ধদিগের