পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* Gooyo यांक ७ झ्नूि । না হইলে যে তোমার অবস্থায় চলে না এবং তুমি তাহাদিগকে অবহেলা করিলে যে অমুখ বা অনর্থের বিষয়ীভূত হও, এই পৰ্য্যন্তে তোমার অধীনতা, কিন্তু তুমি যে সেই গুলির যোগাযোগ সাধন করিয়া এরূপ আকৃতি সংঘটন করিয়াছ, এবং তত্ত্বারা অনর্থের পরিবর্তে যে অর্থকে উপার্জন ও অগ্রসারিত করিতে পারিয়াছ, ইহাই তোমার স্বাধীনতার পরিচয় । পুনশ্চ, এ পৃথিবীতে অনন্ত কৰ্ম্ম, কিন্তু তাহার মধ্যে কৰ্ম্মবিশেষের যে নিৰ্ব্বাচন, তাহাতেই তোমার স্বাধীনতা, কিন্তু সেই কৰ্ম্ম যে প্রকৃতির অমুকুলে সম্পাদিত না হইলে অনর্থোৎপত্তি হইয়া থাকে, তাঁহাই তোমার অধীনতার পরিচায়ক হয়। আমাদিগের কৃত সকল কৰ্ম্মেই এইরূপ ব্যবস্থা এবং কি আত্মিক কি ভৌতিক যাবতীয় বিষয়েই আমরা এইরূপ স্বাধীন ও পরাধীনভাবে কাৰ্য্য করিয়া থাকি। এখন তুমি হয়ত বলিবে, প্রকৃতির নিকট উপকরণ ও আভাসের নিমিত্ত বস্ততায় যেরূপ সৎকাৰ্য্য করিতে হয়, অসৎ কার্য্যেও ত অবিকল সেইরূপ বগুতা এবং আরও দেখা যাইতেছে যে, সে অসৎ কাৰ্য্যও ত প্রকৃতিবক্ষে বৃথা যায় না ;–ফলতঃ প্রকৃতিপোষক হইলেই যদি কাৰ্য্য সৎ হয়, তবে সেরূপ কাৰ্য্যকেও সৎ না বলিয়া অসৎ বলি কেন ? অসং বলি এইজন্ত যে তাঁহাতে পরিণামে অনর্থের উৎপত্তি হয় । পুনশ্চ, এই প্রশ্নও তর্কস্থত্রে আরও এ দুইটি বিষয় এখানে সুন্দররপে উপপন্ন হইতেছে, অর্থাৎ এক তোমার ক্ষীণ ও বিকৃত শক্তিমত্ত, অপর প্রকৃতির সর্বশক্তিমত্তা। তোমার ক্ষীণ ও বিকৃত শক্তিমত্তাকে তুমি আসতের উৎপত্তি করিয়া যাইতেছ ; কিন্তু প্রকৃতি র্তাহার সর্বশক্তিমত্তাতে সে অসৎকেও কাজে লাগাইয়া হরণপূরণ করিয়া লইতেছেন –কিন্তু সেই সঙ্গে, এটাও এখানে প্রকৃতির জমাখরচ বহিতে নিশ্চয়রূপে তোমার বিপক্ষে লিখিত হইয়া