পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ñaely यौरु ७ झ्न्नूि। কথার রাশি মাত্র।” যে নিরক্ষর ব্যক্তি অক্ষরকে কেবল কালী বা কয়লার আঁচড় বলিয়া দেখিয়া থাকে, তাহাকে বেদ-বচনের মাহাত্ম্য হৃদয়ঙ্গম করাইতে যাওয়া বড় সহজ ব্যাপার নহে। বাপু বুদ্ধিমান ! এ বিশ্ব সংসার ক্রীড়ার বস্তু নহে, মূৰ্ত্তিমান অচিন্তনীয়। ঈশ্বরপ্রতিরূপ। তর্ক করিও না ; সেই গুহ দর্শনীয় বিষয় দেখিতে তাহারই উপযুক্ত মানসিক ভাবে দর্শন ও অনুধ্যান করিতে চেষ্টা কর, তাহতেই কেবল জ্ঞানপথে সফলতার সম্ভাবনা, নতুবা নহে। আধ্যাত্মিক আদি ত্ৰিবিধ জগতের কোথাও, কি ধনে কি জ্ঞানে, ভাগ্যলক্ষ্মী আপনা হইতে স্বয়ম্বর কাহাকে হয়েন না ; তাহা হইলে ভাবনা ছিল কি ? এ সংসারে বিনা মূল্যে বা বিনা প্রায়শ্চিত্তে: কোন বস্তুই লাভের সম্ভাবনা নাই। বাপু বাঞ্ছারাম, এক্ষণে তোমার সঙ্গে বকেশ্বরী ক্ষণেকের জন্ত ক্ষান্ত হউক, আমি মূল প্রস্তাবের অনুসরণ করি । আমরা ভারতসন্তান, গ্রীকভাগ্য পর্যবেক্ষণে আমাদিগের আর তত আবস্তকতা দেখিতেছি না । ভারতভাগ্য সমালোচন এবং পৰ্য্যবেক্ষণই আপাততঃ আমাদিগের উদেশু, এবং লোকতঃ ধৰ্ম্মতঃ উহ্য কৰ্ত্তব্যও বটে। সুতরাং তাঁহারই যথাকথঞ্চিৎ অনুসরণ করা যাউক । তাহাতে ফল আছে। আমরা যথাযথ সমালোচনা করিয়া আসিয়াছি যে, ইহ সংসারে গ্ৰীক এবং হিন্দু, স্ব স্ব সীমান্তমধ্যে, বিভিন্নজাতীয় বিবিধ কারণসমূহের সমবায়ে, কিরূপ বিভিন্ন স্বভাবে গঠিত, বৰ্দ্ধিত এবং পূর্ণত প্রাপ্ত হইয়াছে। হিন্দুজাতি পারলৌকিক-গুণ-প্রধান হইয়া নৈতিক মনুষ্যত্বে, সুতরাং প্রকৃতির কোমলতাতেও, শ্রেষ্ঠতা এবং পূর্ণত