পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু। جی به রাজা পাইবার জন্য বারংবার যাজ্ঞা করিলে, দেবরাজ বিরক্তি-বশতঃ একথও কাষ্ঠদও তাঁহাদিগকে রাজা স্বরূপে প্রদান করেন । ভেকগণ রাজার আগমনে প্রথমে কিয়ৎক্ষণ ভীত ও স্তম্ভিত হইয়াছিল বটে, কিন্তু পরক্ষণেই রাজাট কাষ্ঠখণ্ড এরূপ জ্ঞান হওয়ায় যেমন সেই ভয়ের অপনয়ন হইল ; আমনি রাজার উপর আরোহণপূর্বক টিটুকার-নৃত্য এবং তাঁহাতে মলমূত্র পরিত্যাগ পূর্বক, তারস্বরে দেবতার নিকট আর একটি ভাল রাজার প্রার্থনা করিয়াছিল। গ্রীকেরাও ঠিক তদ্রুপ ; তাহাদের নবাগত দেশের মূৰ্ত্তিতে যে কিছু ভয়ের কারণ, অবিলম্বে তাহার মস্তকে পদাঘাত করিয়া, যেন সদপে বাহাজগৎকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল,—“তোমার আর কি অধিক বিভীষিকা আছে উপস্থিত কর, যাহা দেখাইয়াছিলে তাহাতে ত কিছুই হইল না। পূৰ্ব্বে যে কিছু একটু ভয় মনোমধ্যে ছিল, তোমার নিকট পর্য্যন্ত আসিতে পথিস্থলে বহু বিভীষিকা দৃষ্টি ও বহু বিভীষিক অতিক্রমে, তাহা অভ্যস্ত হওয়াতে তিরোহিত হইয়া গিয়াছে ; এক্ষণে তোমার ঐ একটু ভয় প্রদর্শনে মন্দ লাগিল না, নির্ভয়ত আরও বাড়িল । তুমি ভাবিয়াছ, আমাদের জীবনোপায় পদার্থ সমস্ত আত্মগর্ভে লুকাইয়া রাখিবে, তাহা পরিবে না ; তোমাকে চিনিয়াছি, আমরা তাহ বল-পূর্বক গ্রহণ করিব।” এক্ষণে ভারতচরিত্রের ন্তায় গ্রীকচরিত্র বিশ্লেষণ করিলে, দেখিতে orteয়া যায় যে, সাহস, অহঙ্কার, এবং ধারণায় সাম্যভাব ইহাদের চরিত্রের ভিত্তিস্বরূপ হইয়া দাড়াইল । সে সকলের প্রতিপ্রসবে, সাহস হইতে পৌরুষভাব, অহঙ্কার হইতে অধ্যবসায়, এবং সাম্যধারণা হইতে সংসাররতি । পুনশ্চ, পৌরুষভাব হইতে নিৰ্ম্মায়িকতা, অধ্যবসায় হইতে মুখামুসরণ, এবং সংসাররতি হইতে সামাজিকত বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিল। ইত্যাদি ইত্যাদি। এই তাবৎ গুণ ও ভাবাভাব সকলের মধ্য