পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু। و دهها ভারতসন্তান, এ পর্যন্ত তুমি অযথা আত্মগরিমায় অনেক র আন্ম বৰংস করিয়া আসিয়াছ, আর কেন ? যদি তোমার গুণভাগ প্রকৃতই কিঞ্চিৎ উপার্জিত হইয়া থাকে, তাহ হইলেও শূন্ত হাড়িতে কেবল ইটা দুটা ফেলিয়া কড় কড় শৰে কাণ বাল-পালা ও লোক হাসাইবার আবশ্যক কি ? প্রকৃত গুণ বাহা, তাহ নিৰ্ব্বাক্‌ ; প্রকৃত পূর্ণতা যাহা, তাহ নিস্তন্ধ । পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, সাত্বিক প্রকৃতি সাত্বিক চেষ্টার পূর্বগত। উৎসস্থল যেরূপ, প্রস্থত ফলও সেই প্রকৃতির হইয়া থাকে ; বহু চেষ্টাতেও সে প্রকৃতি হইতে চু্যত করিবার সম্ভাবনা নাই। যদি তাহা করিবার চেষ্টা করা যায়, তাহ প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম ; স্বতরাং শ্রমবিধ্বস্ত ও বহু বিভীষিকাবিমূর্ণিত হওয়া, ইহাই লাভ হইয়া থাকে ; কাৰ্য্যফলে সুফল কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না। কারণের শাস্তি ভিন্ন, লক্ষণের শাস্তিতে রোগ নিরসন হয় না । অতএব যে কোন সকল পদার্থের মলসংস্কার, বা যে কোন নিৰ্ম্মল পদার্থের উৎপাদন, সাধন করিতে হইলে ; সৰ্ব্বাগ্রে উৎসস্থানের নির্মলতা সাধন অপরিহার্য্য ও তাহাই প্রধান কৰ্ত্তব্য বলিয়া জানিও । উৎসস্থানকে একবার নিৰ্ম্মল করিতে পারিলে, তাহার পরবর্তী আর যে কিছু উত্তর কার্য্য, তাহা নিতান্ত সহজ হইয়া আইসে ; এবং লক্ষণ চিকিৎসার শতাংশের একাংশ শ্রমেই সমস্ত ব্যাপার স্বসম্পন্ন হইয়া যায়। সাত্বিক চেষ্টায় সাত্বিক প্রকৃতি নিৰ্মাণ করিতে পারে না ; সাত্বিক প্রকৃতিই সাৰিক চেষ্টাকে নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকে। প্রকৃতি সাত্বিক হইতে আরম্ভ করিলে, সাকি চেষ্টাও অবশুম্ভাবী ফলস্বরূপ তাহাতে আসিয়া সম্মিলিত হয় ; এবং সেই স্থান হইতেই প্রাকৃতিক নিয়মানুকুলে কাৰ্য্য ও কাৰ্য্যফলের আশা করিতে পারা যায়।