পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসাহার। 囑 ఆుe নিজে প্রকৃতিস্থ হওয়া এবং ইতরগণের প্রতি ব্যবহার শিক্ষা কয়, যদ্বারা ইতরগণকে স্বপ্রয়োজনানুরূপ সমষ্টিরূপে বাধিতে পারা যায়। যতদিন ইতরগণকে পৃষ্ঠবল করিতে না পরিবে, ততদিন উত্তর পূর্ব, . দক্ষিণ পশ্চিম সমস্ত ভারতীয় ভদ্র একত্র হইলেও, কিছুমাত্র ফলের সম্ভাবনা নাই। ফলতঃ বাঞ্ছারাম, নিম্নশ্রেণীর উন্নয়ন ও পৃষ্ঠবলে পরিণতি ভিন্ন, কোন কালে কোন দেশেই কখনও কেহ গণনীয় কিছু সাধন করিতে পারে নাই ও পারে না । অপরাপর দেশে সৌভাগ্য ও সজীবতা অর্থে, সাধারণতঃ অত্যধিক কৰ্ম্মক্ষমতা এবং চিত্তের নিশ্চিত উৎসাহ । আমাদের দেশে তদ্বিপরীতে, সৌভাগ্য অর্থে ধারণার অতীত কৰ্ম্মপগুত এবং সজীবতা অর্থে চিত্তের নিশ্চল ভোগবিলাসী অলসতা । অপরাপর দেশে মুখ, অর্থের সদ্ব্যবহার করিয়া ; কিন্তু এখানকার মুখ, অর্থের অসদ্ব্যবহারে । প্রতি ব্যক্তিই নিশ্চেষ্ট বা আড়ম্বরচেষ্ট, আত্মঘাতি-জীবন অতিৰাহিত করিতেছে ; আড়ম্বরমুগ্ধ অজ্ঞ তাহাতে করতালিঘোষে বাহবা দিতেছে। ধনী হুঁকা ছাড়িয়া সভা, সভা ছাড়িয়া ইকী—সভায় বসিয়া, হাই তুলিয়া, ইংরাজতোষস্থলে চাদ দিয়া, রাজদ্বারে ও মুখমণ্ডলে বাহবা লইতেছে ; হইল বা রায়বাহাদুরী বা রাজগিরটা কিনিয়া আপনাকে পরম চরিতার্থ জ্ঞান করিতেছে ; নির্ধন নিৰ্ব্বাক, ধনীর তদৰ্থে ধন যোগাইতে হস্তপদবদ্ধভাবে তাহাতে রক্তারক্রি হইতেছে ; আবার সাম্যসাধক মধ্যবিত্ত, আপন কাৰ্য্য ভুলিয়া গিয়া, তাহাতে হাততালি দিয়া ছন্ন ও বিকট নৃত্য করিতেছে। বৃদ্ধ বাহাত্তরে প্রাপ্ত, প্রাচীন বিদায়গ্রহণের পন্থা দেখিতেছেন, দেখিতে দেখিতেও মুরুবিববৎ তাহার শেষ উত্তম শিক্ষা, “ইহ সংসারে স্বচ্ছন্দতালাভের বাঞ্ছা থাকিলে, যে কোন উপায়ে হউক, সাহেব সুবোকে বা ক্ষমতা যথায় তথায় সন্তোৰ