পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু৭২ গ্রীক ও হিন্দু। বাঞ্ছারাম, তুমি ভাবিতেছে, প্রকৃতি যখন উত্তরোত্তর উত্তরগামিনী, তখন আমাদের আর বৃথা শ্রম করিয়া ক্লেশ পাইবার প্রয়োজন কি? পরিণামে উন্নতি ত আছেই আছে। সত্য কথা, প্রকৃতি উত্তরগামিনী এবং পদার্থ তাবৎও যাহা দেখিতেছি সঞ্চলেই উত্তর গমন করিবে ; কিন্তু উত্তরগমনও যে অনেক প্রকারে হইয়া, থাকে, তাহা জান কি ? পদার্থ কখন স্বয়ং পুনৰ্নিৰ্ম্মিত অথবা পুনঃংস্কার প্রাপ্ত হইয়া নবজীবন প্রাপ্ত, স্বয়ং উত্তর গমন করিয়া থাকে, কখন বা অপরের নিৰ্ম্মাণে উপকরণস্বরূপে বিলীন হইয়া, উত্তর গমন করে । ফল, একে আত্মদীপ্তি, অপরে আত্মঙ্গোপ। প্রথম গমন আত্মবানের কার্য্য, দ্বিতীয় গমন অনাত্মবানের কার্য্য । তুমি অনাত্মবান্‌ ঢিল পাটিকেল নহ ! তুমি আত্মবান হইয়া প্রকৃতির উপর দ্বিতীয় প্রকৃতিস্বরূপে এবং দ্বিতীয় স্বাক্টক্ষম-শক্তিসমন্বিত হই। যে ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত হইয়tছ, তাহার সফলতা সাধন পক্ষে কি করিবে ? প্রকৃতি হইতে তোমার সেই আত্মস্বতন্ত্র্য, রক্ষার জন্ত কি করিতেছ? তবে তোমার মাত্মলোপই কি পরম পুরুষাৰ্থ ? আত্মলোপ যদি পরম পুরুষাৰ্থ হয়, তাহা হইলে অবশ্ব তুমি যে প্রকৃতির উপর নিশ্চেষ্ট আত্মনির্ভর করিয়া রহিতেছ, তাহ ঠিক কাজই করিতেছ। কিন্তু তাঁহা নহে। তুমি কাৰ্য্যরত হও বা না হও, ঈশ্বরের অভিপ্রেত কাৰ্য্য যাহা এবং যাহা সম্পাদন করতে তুমি প্রেরিত, নিশ্চয় জানিও, তাহ তোমার জন্ত আটক হইয়া পড়িয়া থাকিবে না, কিন্তু তোমার পুরস্কার—তোমার পরিণাম—তোমার শক্তিব্যত্যয়ের ফল? অদৃষ্টবাদের উপরে ইহাকে ওঁছাটে অদৃষ্টবাদ, এবং এরূপ আত্মহীনতায় যে শুভাশুভ, তাহাকে অক্ষম শুভাশুভ वज।। ६tं ।