উপসংহার। ארי সৰ্ব্বভ্যাগিতার অনুকরণ ; অথবা সৰ্ব্বত্যাগিতার ভণ্ড ভেরুধারী সন্ন্যাস এই সকল করিলে ধর্শ্বকাৰ্য্য সামাধা হইল, এবং ধর্মের ফল যাহা তাহ মোক্ষলাভ। প্রার্থনা, স্তবস্তুতি, তোষামোদ, এ সকলে নিৰ্ব্বোধ মোটা মানুষের কাছে কাজ হইলে হইতে পারে, ঈশ্বরের কাছে নহে ; আরও আমি তোমাকে সত্য সত্য বলিতেছি, আত্মসংস্কারে কিছু বাহাদুরী নাই ; বিধবার একাদশবৎ—করিলে ফল নাই, না করিলে পাপ আছে ; প্রত্যুত তুমি যে আত্মসংস্কারের কারণে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছ, ইহাই বরং আশ্চর্য্যের বিষয়। আত্মসংস্কারে তুমি যাহা হইবে, এবং হইয়া ভাবিতেছ যাহাতে চুড়ান্ত ধৰ্ম্ম উপার্জন করিবে ও যাঁহাতে । তোমার মোক্ষ হইবে, তাঁহাইত তোমার স্বাভাবিকী মূৰ্ত্তি। তবে যে এতদিন তুমি সে মূৰ্ত্তিতে ছিলে না, তাহা কেবল স্বভাব হইতে এতদিন বিচু্যত হইয়াছিলে এই মাত্র। এখন যে তুমি প্রবুদ্ধ হইয়া আত্মসংস্কারের দ্বারা সেই আত্মস্বাভাবিকী মূৰ্ত্তিতে আবার ফিরিয়া আসিতেছ, তাহাতে ত তুমি কেবল তোমার নিজ কাৰ্য্য করিতেছ মাত্র । কিন্তু যিনি তোমাকে এই পৃথিবীতে পাঠাইয়াছেন, ধিনি তোমাকে এই প্রভূত কৰ্ম্মশক্তি প্রদান করিয়াছেন, যিনি তোমাকে তোমার সেই; শক্তি সহ পোষণ করিয়াছেন, র্তাহার জন্ত, তাহার প্রীত্যর্থে, কি কম্নিয়াছ ? তোমার মোক্ষপ্রাপ্তি, তোমার পারলৌকিক শুভ, ইত্যাদির জন্ত সৰ্ব্ব পরিত্যাগ করিয়া, ষে উপায় সকলের অনুসরণ করিতেছ, তুমি জানিতেছ না ষে তাহাই তোমাকে তোমার মোক্ষ বা পারলৌকিক শুভ হইতে অনেক দুরে লইয়া ফেলিতেছে। ধৰ্ম্ম কাহাকে বলে তাহ পূৰ্ব্বে অনেক বার রলিয়াছি ।
