পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ove গ্রীক ও হিন্দু। সদ্ব্যবহার না করি, তাহা হইলে কখনই বলিতে পারি না যে, তারা ঈশ্বরের উদেশ্ব নষ্ট করিলাম না। তাহার উদেশ্ব পূরণ করিলেই র্তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করা হইল, অতএব তাহার নাম পুণ্য ; তাহার উদ্দেশু অন্যথা করিলে অবশুই তাহার অপ্রিয় সাধন করা হইল, অতএব তাহার নাম পাপ। আমরা পাপ পুণ্যের ফলভোগী জীব । এজন্ত পাপ পরিহারে যাহাতে পুণ্য সঞ্চয় হয়, শক্তিসমূহের সেইরূপ সদ্ব্যবহার করা সৰ্ব্বতোভাবে শ্রেয় । আমরা, কি ইহলোক কি পরলোক, উভয় লোকের শুভপ্রার্থী হইলে, উহাই তাহার একমাত্র পন্থা ; তদ্ভিন্ন আর দ্বিতীয় পন্থা নাই। অন্ত পন্থা আর আছে বলিয়া যাহারা বলে, তাহারা হয় ভ্রান্ত, নয় নিৰ্ব্বেtধ, নয় ক্ষিপ্ত, নয় জুয়াচোর, ইহার একতর। বাঞ্ছারাম, দেখিতে পাইবে, এ কৰ্ত্তবাবুদ্ধির মূলেও কতটা স্বার্থ নিহিত রহিয়াছে ; কিন্তু স্বার্থ যখন এই অবস্থায়, এরূপ কৰ্ত্তব্যবুদ্ধির সহ জড়িত থাকে, তাঁহাকে দিব্য স্বার্থ বলে ; তদন্তভরে স্বার্থ পার্থিব | পার্থিব অবস্থায় যে স্বার্থ সকল অনর্থের মুল, দিব্যাবস্থায় সেই স্বার্থই আবার সকল অর্থের মূল হইয় থাকে। এই দিব্য স্বার্থকেই চলিত কথায় স্বার্থশূন্ততা নামে অভিহিত করিয়া থাকে। সাৰিকবুদ্ধিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রে প্রায়শ এই একমাত্র দিব্য স্বার্থে স্বার্থবান इहेब थांटक्न । দিব্য স্বার্থের আকাঙ্ক্ষা ঈশ্বরপ্রীতিলাভ। দিব্যস্বার্থবান ব্যক্তি মানবীয় মুখ্যাতি অখ্যাতির প্রত্যাশা রাখে না, যেহেতু সে মানবীয় নিয়োজনে কর্মরত হয় নাই। মানব তাঁহাকে শত ধিকার দিলেও এবং বস্তুত দিয়াই থাকে, তথাপি সে স্বকাৰ্য্য পরিত্যাগ করিবার পাজ নহে ! এ পথে এ লোকে যাহার জন্ত চুরি করি সেই বলে চোর’ প্রায়ই এরূপ ঘটিয়া থাকে ; তথাপি সময় ও সমাজ সপক্ষ বা বিপক্ষ