পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। అని বা মদ অথবা মাংস আহারে হয় না। বলশিক্ষায় শরীর নীরোগ হয়। বাঞ্ছারাম, এখানে সেখানে সকল জায়গাতেই যখন চৌদপেীয়া মানুষ, তথন সভ্য সত্যই যে বলে কেহ সিংহ কেহ মূষিক এতটা প্রভেদ হইতে পারে না । অল্প ইতর বিশেষ অবশু নানা কারণহেতু ঘটে বটে, কিন্তু মোটের উপর সকলেরই বল সমশ্রেণীর। সাধারণতঃ সকল মানবীয় শরীরই সমশ্রেণীর বল ধারণে সমর্থ। কিন্তু বলিতে পার, তথাপি অমরা কেন সে বলের কোথাও অপরিমিত বিকাশ, কোথাও বা একেবারে নূ্যনত দেখিতে পাই ? আর আর বিষয়ের ন্যায় বলও তাহার ফুৰ্ত্তিবিষয়ে মনের শাসনাধীন। লক্ষ্য করিয়া দেখিয়াছ বোধ হয় যে, যে ব্যক্তি সহজ অবস্থায় বল বিষয়ে অতি হেয়, উন্মাদ অবস্থায় তাহারই শরীরে আবার দশ মত্ত হস্তীর বল আসিয়া উপস্থিত হইয়া থাকে ; কোন দৃষ্ট-সিংহ তখন এ দৃষ্টমূধিককে অtটয় উঠতে পারে না। কোন ভীতি স্থলে, কোন বিপৎস্থলে, অথবা তথাবিধ কোন বিশেষ স্থলে, যথায় মানব মরিয়া হইয়া উঠে, তথায়ুও ঐরূপ উন্মাদবৎ বলের বৃদ্ধি হইতে দেখা যায়। সে বল কোথা হইতে আইসে ?—শিরাধমনী বা ধাতু যাহারই হউক, তাহার বিকার বা অবস্থা পরিবর্তনে। কিন্তু সে অবস্থা পরিবর্তনের কারণ ?—উন্মাদ বা ভীতি বা বিপদ ইত্যাদির অবস্থায়, মানবের চিত্তবিক্ষেপ অর্থাৎ অন্তবিষয়ক জ্ঞানজনিত যে প্রতিবন্ধকতা তাহার লোপ হয়, অর্থাৎ বাহ্যজ্ঞানশূন্ততা উপস্থিত হয় । সুতরাং তখন চিত্ত যে কোন বিষয়ে নিবিষ্ট হয়, তাহাই পূর্ণমাত্রায় বিকশিত হইয়া থাকে। এই পূর্ণ মাত্রায় চিত্তনিবেশন বলচালনার প্রতি প্রযুক্ত হওয়াতে, তখন সেই পূর্ণ নিবেশনের ধর্শ্ব হইতে শরীরনিহিত তাবৎ বল সুপ্তাবস্থা চইতে জাগ্রত হইয়া