যদি ব্যবহার ক’র্তে পারা যেত—তা’ হ’লে দেখ্তে যে বর্ত্তমান রণনীতিই বদ্লে গেছে!”
কর্ণেল ব্লুম্স্বি তাঁহার পাথরের দক্ষিণ চক্ষুটী একবার বাহির করিয়া রুমাল দিয়া মুছিতে মুছিতে কহিলেন,—
“তাই নাকি?”
ম্যাট্সন্ বলিলেন,—“তা’ বৈকি। এই দেখনা ছবি খানা! কিন্তু এত অধ্যয়ন, এত চিন্তা, এত শ্রম আর কিসের জন্য? আমেরিকার লোক ত’ আর যুদ্ধ-টুদ্ধ ক’র্বে বলে’ বোধ হ’চ্ছে না!”
কর্ণেল। চলনা ভাই, আমেরিকা ছেড়ে য়ুরোপে যাই। তারা আমাদের মত নয়, কথায় কথায় যুদ্ধ করে।
হাণ্টার। তা’তে আর আমাদের কি?
কর্ণেল। কেন? তাদের হ’য়েই কামান তৈরি ক’র্ব। মানুষ মারার পরীক্ষা—সে যেখানে-সেখানে ক’রলেই হ’লো ৷
হাণ্টার। তাই কি হয়? আমেরিকান্ হ’য়ে বিদেশীর জন্য কামান গড়্বো!
কর্ণেল। কিছু না করার চেয়ে ত ভালো। অনভ্যাসে জানা বিদ্যাও যে ভুলে’ যেতে হয়!
ম্যাট্সন্ গম্ভীর হইয়া কহিলেন, “বিদেশে, বিশেষ য়ুরোপে যাবার আশা ছাড়। জাতীয় উন্নতি কিসে হ’বে, সে কথা বুঝ্তে তাদের এখনো অনেক দেরি! আমেরিকার সঙ্গে তাদের ধ্যান-ধারণা কিছু-মাত্র মিল্বে না।”
পকেট হইতে ছুরি বাহির করিয়া তাহার দ্বারা চেয়ারের হাতল্টা