পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চন্দ্রলোকে যাত্রা

গঠিত। সমিতির চেষ্টা ও অধ্যবসায়ের ফলে অচিরে চন্দ্রলোকও আমাদের আয়ত্ত হইবে।”

 সদস্যগণ সমস্বরে জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল। মনে হইল যেন কক্ষের ছাদ ভাঙ্গিয়া পড়িল।

 “বন্ধুগণ! আপনারা জানেন যে চন্দ্রলোক সম্বন্ধে যথেষ্ট আলোচনা হইয়া গিয়াছে। উহার গুরুত্ব, ঘনত্ব, অবস্থা—উহার গঠনপ্রণালী, গতি, পৃথিবী হইতে দূরত্ব কিছুই জানিতে বাকি নাই। সৌরজগতে চন্দ্রের কার্য্য কি তাহাও আমরা জানি। আপনারা নিশ্চয়ই শুনিয়াছেন যে চন্দ্রলোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ-সম্বন্ধ ঘটাইবার জন্য ইতিপূর্ব্বে অনেকেই অনেক কথা লিখিয়াছেন—কিন্তু কেহই কার্য্যে অগ্রসর হইতে পারেন নাই। সুতরাং চন্দ্রলোক এখনো অনাবিষ্কৃত। সেই অনাবিষ্কৃত সাম্রাজ্য আবিষ্কার ও অধিকার করিয়া আমরাই পৃথিবীর জয়মাল্য গ্রহণ করিব! আপনারা হয় ত ভাবিতেছেন—ইহা অসম্ভব! কিন্তু মোটেই তাহা নহে, বরং অত্যন্ত সহজ।”

 চারিদিকে ঘোর রোলে করতালিধ্বনি হইতে লাগিল। শ্রোতৃবর্গ আনন্দে অধীর হইয়া কেবলই চীৎকার করিতে লাগিল। উত্তেজনা কমিলে পর সভাপতি পুনরায় বলিলেন,—

 “আপনারা সকলেই জানেন অতীত কয়েক বৎসরে গোলক প্রণয়নবিদ্যা কতদুর উৎকর্ষ লাভ করিয়াছে। আপনারা জানেন যে, দক্ষলোকের হস্তে বারুদ কত শক্তি ধরে, কামান কত সুদৃঢ় হয়। আমি তাই ভাবিতেছিলাম যে, চন্দ্রলোকে একটী কামানের গোলা প্রেরণ করিলে ক্ষতি কি?”

১০