পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চন্দ্রলোকে যাত্রা

আবশ্যক? এই প্রশ্নের সমাধান করিয়া পণ্ডিতগণ বলিলেন—চন্দ্র প্রতিদিন ১৩ ডিগ্রী ১০ মিনিট ৩৫ সেকেণ্ড করিয়া ভ্রমণ করে। উহা যখন শিরোবিন্দু বা Zenith হইতে ৬৪ ডিগ্রী দুরে থাকিবে, ঠিক সেই মুহূর্ত্তেই গোলকটী নিক্ষেপ করিতে হইবে।

 এই সকল বিষয় স্থির হইয়া গেলে পর সমিতির অধ্যক্ষগণ একটা বিশেষ সভার অধিবেশন করিলেন। সে সভায় স্থির হইল যে লৌহ বা পিত্তলের গোলকে চলিবে না,—কারণ উহার ব্যাস ৯ ফিট্ করা প্রয়োজন। আয়তন উহা অপেক্ষা ক্ষুদ্র হইলে গোল। যখন চলিবে, তখন সর্ব্বাপেক্ষা উত্তম দূরবীক্ষণ যন্ত্রেও উহাকে দেখা যাইবে না। লৌহ বা পিত্তল অত্যন্ত ভার ধাতু, সুতরাং মীমাংসা হইয়া গেল যে এলুমিনিয়মের ফাঁপা গোলা প্রস্তুত করিতে হইবে। উহা এক ফুট পুরু এবং উহার ব্যাস ৯ ফিট্‌ হইবে।

 এ কথা শুনিয়া সমিতির সম্পাদক ম্যাট্‌সান সাগ্রহে কহিলেন— “আমিও ফাঁপা গোলাই চাই। তাহ’লে ওর ভিতর চিঠি-পত্র পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর দ্রব্য-সম্ভারেরও দু’চারটী নমুনা দেওয়া চল্‌বে। ৯ ফিট্ ব্যাসের ফাঁপা গোলকের ওজন কত হ’বে?”

 সভাপতি বার্বিকেন কহিলেন——“আমি সে হিসাব করেছি। ২৪০ মণ ২৫ সের! এইটে লোহার হ’লে ৮৪৩ মণ হ’তো!”

 একজন সদস্য বলিলেন,—“এলুমিনিয়মের অনেক গুণ আছে। রৌপ্যের বর্ণ, লৌহের দার্ঢ্য, তাম্রের দ্রবণীয়তা, স্ফটিকের লঘুত্ব, স্বর্ণের অবিনশ্বরতা—এ সবই এলুমিনিয়মের আছে বটে—কিন্তু বড় মূল্যবান্ ধাতু।”

১৬