মেজর এল্ফিন্ষ্টোন্ বলিলেন,—“সেইটাই ত বিশেষ ভাব্বার কথা!”
বার্বিকেন মৃদু-হাস্য করিয়া কহিলেন,— “এমন বেশী কিছু নয়। শূন্যে একটা গোলা ছুঁড়লে কি ঘটে? সে যে বায়ুস্তর ভেদ ক’রে অগ্রসর হয়, সে বায়ু তাকে বাধা দেয়—পৃথিবী তাকে আকর্ষণ করে—আর আমরা তাকে যে বেগ দিয়েছি, সে বেগ তাকে গন্তব্যপথে নিয়ে যেতে চায়! বায়ুর স্তর পৃথিবী থেকে ৪০ মাইলের উপরে আর নাই, কাজেই তাকে উপেক্ষা করা চল্তে পারে। যে গোলা সেকেণ্ডে বারো হাজার গজ ছুট্বে, সে পাঁচসেকেণ্ডেই বায়ুস্তর ছেড়ে উঠ্বে। তারপর পৃথিবীর আকর্ষণ। বিজ্ঞান আমাদের ব’লে দিচ্ছে যে, একটা জিনিষ যতই উপরে উঠ্বে, তার ওজনও ততই দূরত্বের বর্গের বিপরীত অনুপাতে কম্তে থাকবে। গোলোকের বেগ বাড়াতে পার্লেই মাধ্যাকর্ষণ অনায়াসে কেটে যাবে। আপনারা সকলেই জানেন যে কামানের দৈর্ঘ্য এবং বারুদের শক্তির উপর সেটা নির্ভর করে।”
মেজর কহিলেন, “সে কথা সত্য। কিন্তু কামানট। ত তা’ হ’লে বড় বেশী লম্বা কর্তে হবে।”
সভাপতি। তা’ হ’বে বৈ কি? এ কামান নিয়ে ত’ আমরা যুদ্ধ কর্তে যাব না, ওকে টেনে নিয়েও বেড়াতে হ’বে না—হোক না যত ইচ্ছা বড়। আজ পর্য্যন্ত ২৫ ফিটের অধিক লম্বা কামান দেখা যায় নাই। সে কামানও আমাদেরই তৈরি সেই কলম্বৈড, এটা ত’ জানা আছে যে, কামানের নল যত লম্বা হবে তার গোলার পশ্চাতে বারুদের গ্যাস্ তত বেশী সঞ্চিত হবে—কাজেই গোলার বেগও বাড়বে।