পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যুক্তি-তর্ক

 ম্যাট্‌সন্। আমি বলি আমাদের কামান আধ মাইল লম্বা হোক্!”

 মেজর। আধ মাইল! বলেন কি?

 ম্যাট্‌সন্। বেশী কি বলেছি, এ ত’ আর দু হাজার চার হাজার গজ পাল্লা মারা নয়—পৃথিবী থেকে চন্দ্রে যাওয়া।

 মেজর। কামান নির্ম্মাণের সাধারণ নিয়ম কি? গোলার ব্যাস যত, কামানের দৈর্ঘ্য তার ২০ কি ২৫ গুণ হয়। গোলকের ওজন যত, কামানের ওজন তার ২৩৫ থেকে ২৪০ গুণের মধ্যে থাকে।

 ম্যাট্‌সন্ উত্তেজিত হইয়া বলিলেন,—“সে কথা সকলেই জানে। কিন্তু সে নিয়ম এখানে খাট্‌বে না। অসাধারণ কাজের নিয়মও অসাধারণ।”

 মেজর। অসাধারণ হোক্, কিন্তু অসম্ভব হলে ত চল্‌বে না। মানুষের শক্তি ত দেবশক্তি নয়, যে যা’ ইচ্ছা তাই করা যাবে!

 ম্যাট্‌সন্। দেবতার কাছে মানুষ দুর্ব্বল বটে, কিন্তু তার শক্তি দুর্ব্বল নয়! আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না? এই দেখুন—আমি হাতে-কলমে প্রমাণ করে’ দিচ্ছি। ভগবানের বিদ্যুৎ আছে, আলোক-রেখা আছে, গ্রহ উপগ্রহ আছে, নক্ষত্রাদি আছে—ধ্বনি ও বাতাস আছে। মানি, এ সমস্তই তীব্র গতিশীল। কিন্তু আমাদেরও কামানের গোলা আছে—গোলার অমিত শক্তি আছে—বারুদের অসীম তেজ আছে! এই ধরুন না কেন, একটা সাধারণ ২৪ পাউণ্ডার কামানের গোলা! সে আর কতটুকু? তার গতির বেগ বিদ্যুতের চেয়ে ৮০,০০০ গুণ কম বটে—আলোক রশ্মির বেগ অপেক্ষা ৬৪০০০ গুণ কম বটে—পৃথিবী যে বেগে সূর্য্যের চারিদিকে ঘোরে তার চেয়েও ৭৩ গুণ কম বটে—কিন্তু ধ্বনি যে বেগে চলে তার চেয়ে’ত অনেক বেশী! ওর গতি মিনিটে ১৪ মাইল,

১৯