পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চন্দ্রলোকে যাত্রা

প্রথমে গোযান, তারপর অশ্বযান, তারপর রেলগাড়ী! আমি বলি ভবিষ্যতে মানুষ কেবল কামানের গোলায় চড়েই যাতায়াত ক’র্‌বে। এতে সময় লাগে কম, অথচ পথশ্রম নাই।”

 “আপনারা ব’ল্‌বেন, গোলকটী যে ভয়ানক বেগে চ’ল্‌বে, তা’তে ওর ভিতর থাক্‌তে পারে কার সাধ্য! কিন্তু এ কথাটা আদৌ ভাব্‌বার কথা নয়। আমাদের পৃথিবী—এই যে সব চেয়ে ছোট এতটুকু পৃথিবী—সে ত ঘণ্টায় ২৯১০০ মাইলের কম চলে না! আর দেখুন দেখি, আমরা কত অলস। কেহ কেহ বলেন, মানুষ একটা সীমাবদ্ধ জীব। তাকে সেই গণ্ডীর ভিতর থাক্‌তেই হ’বে! পৃথিবী ছেড়ে গ্রহলোকে যাবার অধিকার তার নাই। কিন্তু এটা মস্ত ভুল। সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে সে উপায়ও আবিষ্কৃত হ’বে। আজ আমরা যেমন পৃথিবীর সমুদ্রটা হেলায় উত্তীর্ণ হচ্ছি, কালে তেমনি আকাশ-সমুদ্রও পার হ’য়ে যাব! তখন বিশ বৎসরের মধ্যে দেখা যাবে, পৃথিবীর অর্দ্ধেক লোক চন্দ্রমণ্ডলে বেড়াতে চ’লেছে।”

 একজন শ্রোতা কহিলেন, “গ্রহাদিতে কি কোন জীব-জন্তু আছে?”

 আর্দ্দান। আছে বৈ কি! কুটার্ক, সুয়েডেনবার্গ, বার্ণাডিন প্রভৃতি পণ্ডিতগণ পরীক্ষায় স্থির ক’রেছেন যে গ্রহাদিতেও জীব-জন্তু আছে!”

 আর একজন দর্শক কহিলেন,—“গ্রহাদি যে বাসোপযোগী নয়—এরও ত অনেক প্রমাণ আছে। আর যদি সেগুলি বাসের যোগ্যই হয়, তা’ হ’লে জীবনধারণের উপায়গুলিকেও বদ্‌লে নিতে হ’বে।”

৪২