পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মাইকেল আর্দ্দান

তাঁরা দেখ্‌লেন, চন্দ্রে এক অদ্ভুত আলোক রশ্মি দেখা যাচ্ছে। তাঁরা উল্কা প্রভৃতির আলোক দেখেই চন্দ্রের আলোক ব’লে মনে ক’রেছিলেন।”

 “বেশ, ও কথা তবে ছেড়ে দিন। ১৭৮৭ সালে কি হার্সেলের ন্যায় জগন্মান্য পণ্ডিত চন্দ্রে আলোক-বিন্দু দেখেন নাই?”

 “দেখেছিলেন, কিন্তু সেগুলি যে কি, তা’ তিনি নিজেই ঠিক ক’র্‌তে পারেন নাই।”

 আর্দ্দান কহিলেন,—“চন্দ্র সম্বন্ধে আপনার অনেক অভিজ্ঞতা আছে দেখছি ত’।”

 “হাঁ, আছে বৈ কি। মুসেঁবিয়ার বা মড্‌লারের মত বিচক্ষণ পর্য্যবেক্ষকও স্বীকার ক’রেছেন যে চন্দ্রে বাতাস নাই।”

 আর্দ্দান গম্ভীর-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন,—

 “ফরাসী জ্যোতির্ধ্বিৎ মুসেঁ লসেদতের নাম বোধ হয় জানা আছে?”

 “আছে বৈ কি?”

 “তাঁর পর্য্যবেক্ষণের উপরও শ্রদ্ধা আছে?”

 “আছেই ত’।”

 “চন্দ্রে যে বাতাস নাই, তিনি ত’ এ কথা বলেন নাই। বরং বলেন বাতাস আছে।”  “থাক্‌তে পারে, কিন্তু সে বাতাস নিশ্চয়ই লঘু—মানুষের যোগ্য নয়।”

 “যতই লঘু হোক্, একজনের মত বাতাস পাওয়াই যাবে। একবার চন্দ্রলোকে যেতে পার্‌লে হয়, বাতাসের ব্যবস্থা সেখানেই করে

৪৫