পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চন্দ্রলোকে যাত্রা

নেবো। না হয়, নিতান্ত আবশ্যক না হ’লে নিঃশ্বাসই নেবো না। চন্দ্রে যেমন বাতাসই থাক্, বাতাস আছে এটা যখন স্বীকার ক’র্‌ছেন, তখন এটাও স্বীকার ক’র্‌ছেন যে জলও আছে। কারণ জল না থাক্‌লে ত’ বাতাস থাকে না।”

 “তা’ যেন হলো—গোলাটা যখন বায়ুস্তর ভেদ করে’ উঠ্‌বে, তখন সেই ঘর্ষণে যে উত্তাপ হবে তাতেই—”

 বাধা দিয়া আর্দ্দান বলিলেন—“আমি পুড়ে’ মরবো, কেমন? তা’ পুড়ছিনে! বায়ুস্তর পার হ’তে কয় সেকেণ্ড লাগ্‌বে তা জানেন ত? গোলকের পাশটাও খুবই পুরু।”

 “খাদ্যসামগ্রী—জল—এ সবের কি হবে?”

 “এক বৎসরের মত সঙ্গে নিয়ে যাব। পথে ত মোটেই ৪ দিন থাক্‌তে হবে, তারপর সেখানে যেয়ে ব্যবস্থা করা যাবে!”

 “পথে নিশ্বাস নেবার বাতাস পাবেন কোথায়?”

 “রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তৈরি করে’ নেবো।”

 “চন্দ্রলোকে যদি যেতেই পারেন, তা’ হ’লে সেখানে যেয়ে যখন আছাড় খেয়ে পড়বেন তখন—”

 “পৃথিবীতে পড়লে যতটা বেগে প’ড়তাম,বেগ তার চেয়ে ত অন্ততঃ ছয় গুণ কম হবে!”

 “তা’ হো’ক্—কিন্তু তাতেই যে আপনি কাচের টুক্‌রার মত রেণু রেণু হবেন!”

 “ইচ্ছা কর্‌লেই ত পতন-বেগ কমাতে পার্‌বো। আমি কতকগুলো হাউই-বাজি সঙ্গে নেবো। উপযুক্ত সময়ে তাতে আগুন দিলেই গোলার

৪৬