“নিঃসন্দেহে বলা যায় একজন মানুষ।”
“জীবিত? না মৃত? কৈ নড়ে চড়ে না ত? কৈ বন্দুক ত হাতে নাই? লতার আড়ালে মুখখানা ঢাকা পড়েছে দেখ্ছি!”
“চলুন নিকটে যাই।”
উভয়ে প্রচ্ছন্নভাবে আর একটু অগ্রসর হইবামাত্রই ম্যাট্সন্ চিনিলেন,—“কাপ্তান্ নিকল্। তাঁহার দুই চক্ষু দিয়া অগ্নি নির্গত হইতে লাগিল। দন্তে দন্তে নিষ্পেষণ করিয়া তিনি কহিলেন, “কাপ্তান নিকল্! নিশ্চয়ই তবে বার্বিকেনের মৃত্যু ঘটেছে?”
“নি-ক-ল্?” আর্দ্দান অতিমাত্র বিস্মিত হইয়া কহিলেন— “নি-ক-ল্!” উভয়ে নিকটে যাইয়া দেখিলেন, একটী পক্ষী বিষাক্ত ঊর্ণনাভের জালে আবদ্ধ হইয়া ছট্ফট্ করিতেছে, আর নিকল্ অতি যত্নে পক্ষীকে জালমুক্ত করিতেছেন। তাঁহার বন্দুকটী পদ-নিম্নে ঘাসের মধ্যে পড়িয়া আছে। পক্ষীটী জালমুক্ত হইয়া উড়িয়া উঠিল এবং নিকটবর্ত্তী বৃক্ষের শাখায় বসিয়া পুচ্ছ নাড়িতে লাগিল। নিকল্ অতিশয় স্নেহ-পূর্ণদৃষ্টিতে পক্ষীর দিকে চাহিয়া রহিলেন।
এ দৃশ্য দেখিয়া আর্দ্দান্ ভাবিলেন,—এত করুণা যাঁর, তিনি কি কখনো নৃশংস নরঘাতক হ’তে পারেন! আর্দ্দান্ নিকটে যাইয়া কহিলেন,—
“কাপ্তান নিকল্! সত্যই আপনি দয়ালু-হৃদয় বীর-পুরুষ।” নিকল চমকিত হইয়া উঠিলেন। বিস্ময়ে বলিলেন,—
“এ কে? মাইকেল আর্দ্দান্? আপনি এখানে কেন?”
“আপনার সঙ্গে বন্ধুতা করে’ দ্বৈরথ সমর বন্ধ ক’র্তে এসেছি।