এ যুদ্ধে লাভ কি? হয় আপনি মর্বেন, না হয় বার্বিকেনের মৃত্যু হ’বে?”
“কি বল্লেন—বার্বিকেন? আমি দু’ঘণ্টা ধ’রে তার সন্ধানে ফির্ছি! দ্বৈরথ-যুদ্ধের নিমন্ত্রণ ক’রে আমেরিকান্ যে এমন ক’রে পালায় তা’ জান্তাম না!”
ম্যাট্সন্ তীব্র-কণ্ঠে কহিলেন,—“আমেরিকান্ পালাতে জানে না। প্রভাত হ’বার বহু পূর্ব্বেই বার্বিকেন্ এ দিকে এসেছেন।”
“তবে আর বিলম্বে প্রয়োজন কি? আমার অনেক কাজ আছে। চলুন, তাঁকে খুঁজে দেখা যাক্। এ সামান্য কাজটার জন্য এত সময় নষ্ট করা যায় না!”
আর্দ্দান্ বলিলেন,—
“ব্যস্ত হ’বেন না। বার্বিকেন্ যদি জীবিত থাকেন, তা’হ’লে আমরা নিশ্চয় এখনই তাঁকে পাব। কিন্তু আমি ঠিক বল্ছি, আপনাদের দু’জনের দেখা হ’লে যুদ্ধ আর হ’বে না।”
“সে আর হয় না—আজ আমাদের এক জনকে মর্তেই হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার জ্বালা বুকে নিয়ে এমন ক’রে কি বেঁচে থাকা যায়?”
ম্যাট্সন্ তখন অপেক্ষাকৃত কাতর কণ্ঠে কহিলেন,—
“কাপ্তান্! আমি বার্বিকেনের পরম বন্ধু। যদি আজ নরহত্যা করাই আপনার আবশ্যক হয়, তবে আমাকেই হত্যা করুন। আমাকে মারাও যা’ বার্বিকেনকে মারাও তাই!”
ম্যাট্সন্ মুহূর্ত্তে তাঁহার কোট্টী ভূমে নিক্ষেপ করিয়া প্রশস্ত-বক্ষে দাঁড়াইলেন! নিকলের নয়নে ও বদনে সহসা শয়তানের আবির্ভাব হইল!