তিনি চকিতে বন্দুক তুলিলেন! উভয়ের মধ্যস্থলে দাঁড়াইয়া আর্দ্দান্ কহিলেন—“বন্ধু ম্যাট্সন্ তাঁর সখার জীবন রক্ষা ক’র্তে আত্মদান কর্ছেন দেখ্ছি। কিন্তু আমি এখনো বল্ছি, এ হত্যা হ’তে দিব না। আমি আপনাদের কাছে এমন একটা লোভনীয় প্রস্তাব ক’র্ব যে মর্তে আপনাদের ইচ্ছা হ’বে না!”
একটু বিদ্রূপ-মিশ্রিত অবিশ্বাসের কণ্ঠে নিকল্ কহিলেন—“কি সে প্রস্তাব শুন্তে পাই কি?”
“ধৈর্য্য ধরুন। বার্বিকেনের অসাক্ষাতে সে কথা বলা ঠিক হ’বে না।”
“তবে, চলুন, তাঁকে খুঁজে দেখি।”
“বেশ চলুন।”
তিন জনে তখন বার্বিকেনের সন্ধানে বাহির হইলেন। কিছু দুর অগ্রসর হইয়াই নিকল্ থমকিয়া দাঁড়াইলেন এবং দূরে অঙ্গুলী নির্দ্দেশ করিলেন। ম্যাট্সন্ ও আর্দ্দান্ দেখিলেন, সুদীর্ঘ তৃণাদির ভিতর একটা প্রকাণ্ড বৃক্ষ-কাণ্ডে ঠেস্ দিয়া বার্বিকেন দাঁড়াইয়া রহিয়াছেন। তাঁহার দেহের সকল অংশ দেখা যাইতেছে না।
মাইকেল আর্দ্দান্ বার্বিকেনকে ডাকিতে ডাকিতে তাঁহার দিকে অগ্রসর হইলেন। বার্বিকেন নীরব—যেন পাষাণ-প্রতিমা। আরও নিকটে যাইয়া আর্দ্দান্ দেখিলেন, বার্বিকেন তন্ময় হইয়া কতকগুলি জ্যামিতিক চিত্র অঙ্কিত করিতেছেন! তাঁহার পদনিম্নে রাইফেলটী পড়িয়া আছে।
আর্দ্দান্ তাঁহার অঙ্গ-স্পর্শ করিয়া ডাকিলেন,—“বার্বিকেন!”