বার্বিকেন চমকিত হইয়া কহিলেন—“এ কি! আর্দ্দান্ যে! হয়েছে—হয়েছে—আমি উপায় পেয়েছি—আর চিন্তা নাই!”
“কিসের উপায়?”
“সেই-টে করার।”
“কি করার?”
“গোলাটা যখন কামানের মুখ থেকে বেরিয়ে পড়বে তখন ত প্রবল একটা ধাক্কা লাগ্বে, যাতে তা’ না লাগে তার পথ পেয়েছি।”
হর্ষোৎফুল্লকণ্ঠে আর্দ্দান্ কহিলেন—“সত্যি?”
ঈষৎ একটু হাসিয়া বার্বিকেন বলিলেন——“বেশী কিছু নয়—জলকে স্প্রিংএর কাজে লাগালেই হয়। তার উপর বস্বার আসন থাক্বে। আরে—ম্যাট্সনও যে এখানে।”
আর্দ্দান্ বার্বিকেনের কর ধারণ করিয়া কহিলেন—“ওই গাছের কাছে কাপ্তেন নিকলও আছেন। আসুন, তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দি।”
বার্বিকেনের কপোলের শিরাগুলি স্ফীত হইয়া উঠিল। বদনমণ্ডল আরক্তিম হইল। তিনি সলজ্জভাবে বলিলেন—“কি লজ্জা! কথা রাখ্তে পারি নি!” নিকল্কে অগ্রবর্ত্তী হইতে দেখিয়া তিনি উচ্চকণ্ঠে কহিলেন—“কাপ্তেন্ নিকল্! ক্ষমা কর্বেন। আমারই দোষে আপনাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা কর্তে হয়েছে। আমাদের গোলাটা সম্বন্ধে ভাবতে ভাবতে আমি যুদ্ধের কথাটা ভুলেই গিয়েছিলাম! তা’ আসুন, আমি ত প্রস্তুত।” বার্বিকেন তাঁহার বন্দুকটা তুলিয়া লইলেন।