있e চাৰুনীতি পাঠ । তাহাকে কিছু না বলিত কিম্বা বুঝাইয়া দু একটা কথা বলিয়াই ক্ষান্ত থাকিত, তাহ হইলে বড়ই ভাল হইত। কিন্তু সকলেই একবারে উচ্চৈঃস্বরে তাহাকে ছি! ছি! করিতে লাগিল, কেহ বা তাহার হাত হইতে ভাড় কাড়িয়া লইবার চেষ্টা করিল। এইরূপ করাতে ভূপালের য়াগ আরও বাড়িয়া উঠিল। অবশেষে সে তাহদের মধ্য হইতে কিছু দূরে দৌড়িয়া গিয়া বেচার কুন্দের প্রিয় সামগ্ৰী সেই মাটির ভাড়ট দেয়ালে আছাড় মারিয়া চীৎকার স্বরে বলিতে লাগিল, “কেমন কুন্দ এই বার আস্নক না, আর ভীড় নিয়ে যাক না ।” বলা বাহুল্য সাধের ভাড়টা খণ্ড খণ্ড হইয়া গেল, এবং ইহাই আজ বালিকা কুন্দের দুঃখের কারণ। নলিন চুপ করিয়া এই কথাগুলি শুনিল। তার পর ভগ্নীর হাত ধরির দুজনে বাড়ীর দিকে ছুটিল । নলিনের স্বাভাবিক হাসি হাসি মুখ খানি আজ বড় দুঃখে ভার হইয়াছে। বালিকার স্বভাব বড় সরল ছিল, সে পথের ধারে বনফুল তুলিতে জারম্ভ করিয়া সাধের ভীড়ের কথা ভুলিয়া গেল । তাহারা কিছু অধিক অৰ্দ্ধেক পথ গিয়াছে, এমন সময়ে তাহাদের সহিত নলিনের একজন সহপাঠী বন্ধুর সাক্ষাৎ হইল। সেই বালক কয়েকদিন তাহার পিতার পীড়ার জন্য বিদ্যালয়ে যাইতে পারে নাই, এক্ষণে নলিনকে দেখিতে পাইয়া বলিল, “নলিন ! আমার পিতা অনেক সুস্থ হইয়াছেন, আমি কাল স্কুলে যাইব । নলিন হেঁট মুথে বলিল “তা বেশ ।” দেবনাখ বলিল, “কেন তোমার কি হইয়াছে ? তোমাকে বিমর্ষ ও গম্ভীর দেখাইতেছে কেন ? তুমি কি সুজি খুলে
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/২৯
অবয়ব