06 চাৰুনীতি পাঠ । এনের খুড়ী জিজ্ঞাসা করিলেন, “এন তুমি কি ভাবিতেছ ? তুমি কি বালিকা সুসেন কে ভালবাস ? এদিকে এন সেদিন নগর হইতে বাড়ী আসিবার সময় পথিমধ্যে আপনার ভাগ্যের প্রতি যে অসন্তোষ প্রকাশ করিয়াছিল তাহা চিন্তা করিয়া খুড়ীকে করুণুস্বরে বলিল, “হায়, হায়, আমি কি অকৃতজ্ঞ,চক্ষু প্রভৃতি“এক একটা ইন্দ্রিয় যে অনন্ত সুখের প্রস্রবণ, তাহা ত জানিতাম না।” এনের খুড়ী যখন দেখিলেন যে বালিকা আপন হইতেই এই অমূল্য সত্য বুঝিয়াছে, উপদেশে যাহা করিতে পারে নাই একটা সং দৃষ্টান্তে তাহা করিয়াছে, তখন র্তাহার আনন্দের অবধি রহিল না, তথাপি তিনি স্পষ্ট করিয়া বলিলেন, ঐ যে তুমি বলিলে, “এক একট ইন্দ্রিয় অনন্ত সুখের প্রস্রবণ” ইহাই বুঝাইবার জন্য আমি তোমার সহিত তর্ক যুক্তি পরিহার করিয়া তোমাকে বিবী ব্রাইয়েনের কুটীরে লইয়া গিয়াছিলাম । তুমি যে আমাকে সে দিবস বলিয়াছিলে “চন্দ্র স্বৰ্য্য পুষ্পাদি ত সকলেই দেখে, ইহাতে আর বিশেষ সুখ কি আছে ?” কিন্তু এখন ত বুঝিতে পারিলে যে, তুমি যে সমস্ত পদার্থ অগ্রাহ্য করিয়াছিলে, সেই সকল অন্ধ বালিক সুসেনের পক্ষে কত ফুলভ ও প্রিয়দর্শন। অতএব হে ক্ষুদ্র বালিকে, তুমি আপনার ভাগ্যের প্রতি সন্তুষ্ট থাকিতে চেষ্টা কর । পৃথিবীর অবোধ লোকের ন্যায় বলিও না যে সংসার কেবল দুঃখ ও নিরানন্দময়, জানিও আনন্দময় ঈশ্বর আননের খনি আমাদের জন্য সঞ্চিত রাখিয়াছেন। প্রফুল্লচিত্তে আপনার অবস্থানুরূপ কাৰ্য্য করিয়া যাও, সেই মধুর আনন্দ লাভ করিয়া চির মুখী হইতে পারবে। 姆爵 يت 28 مضمضة
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৩৯
অবয়ব