চাৰুনীতি পাঠ । ९५ শরীর চিরব্রুগ্নাবস্থায় থাকে বা আমি অসন্তুষ্ট চিত্ত হই, তাহt হইলে আমার ব্লtশীকৃত ধন কি আমাকে সুখ ও শান্তি দিতে পারিবে ? সেই যে কৃপণ মৃত্যুশয্যায় শয়ান হইয়া সমস্ত জীবনে সঞ্চিত মুদ্রাধার সকল দেখিবার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করাতে যখন সে সকল তাহার সম্মুখে আনীত হইল, তখন সে কি করিয়াছিল ? না, সে আক্ষেপ করিয়া বলিয়াছিল, “হায়! হায়! এই সকল ধন ত আমাকে এ সময়ে সুখ দিতে পারিল না, ইহারা আমার সম্বন্ধে এক্ষণে সম্পূর্ণরূপে ধূলির ন্যায় অকিঞ্চিৎকর, আর পূর্বেই বা ইহারা আমাকে কি মুখ দিয়াছে ? নিশীথ সময়ে যখন দরিদ্র কাঙ্গাল, পর্ণকুটারবাসী নিৰ্ভয়ে নিশ্চিন্ত হইয়া বিরামদায়িনী নিদ্রার সুকোমল ক্রোড়ে মস্তক য়াখিয়া অকাতরে গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত, আমি তখন, পাছে দস্থ্য ও তস্কর অামার বহু কষ্টোপার্জিত ধন লইয়া যায় এই ভয়ে, সুনিদ্রার সুখ অনুভব করিতে বঞ্চিত হইরাছি ; যদিও কদাচিৎ নিদ্রাবেশ হইয়াছে, বায়ুতাড়িত বাতায়ন শব্দ ইত্যাদি অমূলক কারণে চমকিত হইয়া জাগ্রত হইয়াছি।” কৃপণের এই প্রকার খেদোক্তি কি আমাকে শিক্ষা দিবে না ? সত্য বটে, অর্জনস্পৃহা আমার অন্যান্য প্রবৃত্তির ন্যায় একট স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, কিন্তু তাই বলিয়া ধনেপোর্জনই কি আমার সৰ্ব্বস্ব হুইবে? আমার পার্থিব জীবনের পরিসমাপ্তির সহিত যাহার সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হইবে, যে তুচ্ছ ধন আমার অমর আত্মার চিরসম্বল হইতে পারিল না, সেই অকিঞ্চিৎকর অর্থের জন্য কি আমার অমূল্য জীবন যাপিত হইবে ? তবে অর্জনস্পৃহা যদি পরমেশ্বর দিয়াছেন তবে আমি কি উপার্জন করিব ? অবশ্য সংসারে
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৬২
অবয়ব