চাৰুনীতি পাঠ । 位》 জাতীয় অভু্যখানের একট অমূল্য সঙ্কেত শিক্ষা করিতে পারি। দেশের বাস্তবিক বল ও অবলম্বন কাহারা ? কোন ভিত্তিয় উপর প্রতিষ্ঠিত হইয়া জাতীয় উন্নতিরূপ সুশোভন অট্টালিকা আটলভাবে সগৌরবে দণ্ডায়মান থাকিতে সক্ষম? কোনও দেশ যখন নিতান্ত শোচনীয় অধোগতিয় একশেষ প্রাপ্ত হইয়। রসাতলে যাইতে থাকে, তখন কে সেই সুদীন অধঃপতিত দেশকে উদ্ধার করিতে সক্ষম হয়েন ? যখন কোন দেশ দেবদুর্লভ স্বাধীনতাধনে ষঞ্চিত হইয়া দীন হীন কাঙ্গালের ন্যায় জেতৃপদতলে দলিত ও অশেষ প্রকারে লাঞ্ছিত হইতে থাকে, তখন কে তাহাকে সেই দুৰ্গতির চরমাবস্থা হইতে মুক্ত করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইতে সকল প্রকার স্বার্থপরতার মূলে কুঠারাঘাত করিতে ধনমান ঐশ্বর্যের মমতায় জলাঞ্জলি দিতে,—এমন কি প্রিয়তম প্রাণকেও বিসর্জন দিতে কুষ্ঠিত নহেন ? বাহিরের সভ্যতা, বাহিরের অসংখ্য বিলাসসামগ্ৰী কখন কি কোন জাতির মূলদেশ দৃঢ় করিতে সক্ষম হইয়াছে ? কখনই না, বরং ঐ সকল বহবাড়ম্বরে প্রমত্ত হইয়া কত দেশ উৎসল্প হইয়া গিয়াছে, ইতিহাসের প্রতি অক্ষর পরিস্কাররূপে তাহার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। মহাত্মা লুথার বলেন – কোন দেশের সৌভাগ্য প্রচুর রাজস্বের উপর নির্ভর করে না, কিম্বা সেই দেশের দৃঢ় গঠিত দুর্গের উপর নির্ভর করে না, কিম্বা উহার প্রকাশ্য অট্টালিকার সৌন্দর্য্যের উপরও নির্ভর করে না ; কিন্তু দেশের সৌভাগ্য দেশের উন্নত অধিবাসী এবং বিদ্বান, জ্ঞানী ও চরিত্রবান লোক সংখ্যার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে ; ইহাতেই দেশের
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৬৮
অবয়ব