পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Šo e চাৰুনীতি পাঠ । প্রকৃত প্রভাব, প্রকৃত বল, এবং প্রকৃত ক্ষমতা লক্ষিত হয়। * নব্য আয়ল্যাণ্ডের একজন প্রধান নেতা, মহাত্মা কবিবর ডেভিস বলেন ঃ– “স্বাধীনতা পরমেশ্বরের দক্ষিণ হস্ত হইতে আইসে, এবং ইহার জন্য ধাৰ্ম্মিক লোকের : প্রয়োজন হয়। ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তিগণই আমাদের দেশকে আর একবার একটা জাতিতে উন্নীত করিতে পারে। * এখন তবে স্পষ্টই প্রতীত হইতেছে জাতীয় অভু্যখানের জন্য কি চাই। চাই কর্ণেলিয়ার মত গুণবতী রমণী, গ্রেকাইদিগের মত কুলপাবন জাতিগৌরব পুত্র। এই প্রকার চরিত্রবতী রমণী ও সদগুণশালী পুত্ৰগণ “স্বর্গাদপি গরীয়সী জন্মভূমির জন্য পুরাকালের স্পার্টান বা রাজপুত রমণী ও পুত্রের ন্যায়, অকাতরে অমান বদনে শত সহস্ৰ নিগ্ৰহ সহ্য করিয়) সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রিয়তম প্রাণ পৰ্য্যন্ত বিসর্জন দিয়া স্বদেশের অভু্যত্থান সাধনে সক্ষম হয়েন । এই প্রকার পুত্র ও মাত পাইলে যে কোন . অধঃপতিত দেশের মলিন মুখ আবার উজ্জ্বল হইতে পারে। যে দেশে এই প্রকার রমণী ও পুত্ররত্বের সংখ্যা অধিক, সেই দেশই উজ্জ্বল অক্ষয় কীৰ্ত্তিলাভে সক্ষম হইয়াছে, ইতিহাস তাহা সুস্পষ্টরূপে সপ্রমাণ করিতেছে। অধিক দূরে যাইবার প্রয়োজন নাই, অতীত ভারতের অপূৰ্ব্ব কথা একবার স্মরণ করিলেই হইবে । এই প্রকার অনেক রমণী ও পুত্ররত্ন এককালে ভারতের মুখ উজ্জল করিয়াছিলেন। সেই সকল রমণী ও পুত্ৰগণ ভারতকে জগতের চক্ষে এক শ্রেষ্ঠ দেশ মধুে পরি গণিত করিয়াছিলেন। তাহাদিগেরই পবিত্র নাম স্মরণ করিয়া