পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ | চাঞ্চনীতি পাঠ । হইতে অশীতিপর বৃদ্ধ পৰ্য্যন্ত সকলেই সৌন্দর্য্যের দাস । কে জানে বিধাতা সৌন্দর্য্যের সহিত মানবমনকে কেমন বাধিয়t রাখিয়াছেন ? যাহার। আমার কেহ নয়, আমার পরিচিত ব। আত্মীয় কেহই নয়, যাহাদিগকে পূৰ্ব্বে কখনও দেখি নাই, অথচ সেই সুন্দর বালক বালিকা পথ দিয়া যাইতেছে দেখিয়। কেন ইচ্ছা হয় তাহাদিগকে কাছে বসাইয়। “তাহার কে ?”অবগত হই ? অপরন্তু আরও কত বালক বালিকা রহিয়াছে, কিন্তু তাহাদিগকে দেখিতে আমার দৃষ্টিত আকৃষ্ট হয় না ! ঐ যে বিকসিত কুসুম চারিদিকে শোভা ও সৌরভ বিস্তার করিয়া পবন ভরে হেলিতেছে দুলিতেছে, কেন আমার প্রাণ তাহ। দেখিয়া আকষ্ট হইল ?—ঐ যে ফলবান বৃক্ষ ফলভরে অবনত হইয়৷ ভূমিকে চুম্বন করিতেছে,—ঐ যে সুদূরব্যাপী শ্যামল শস্যক্ষেত্ৰ মৃদুমন্দ সমীরণে তরঙ্গের আকার ধারণ করিয়াছে, ঐ যে প্রশান্ত স্বচ্ছসরোবরবক্ষে পার্শ্বস্থ বৃক্ষের ছায়া ও প্রফুল্ল পদ্ম ঈষৎ কম্পিত হইতেছে, ঐ যে অভ্ৰভেদী অচল উদ্ধ শিরে দণ্ডায়মান,—ঐ যে স্রোতস্বর্তী বসুধার মেখলার ন্যায় শোভমান,—ঐ যে নিঝরিণী ঝর, ঝর শব্দে জলোগীরণ করিতেছে,—ঐ যে বৃক্ষশাখায় উপবিষ্ট সুচারু বিহঙ্গের সুস্বরলহরীতে দিগন্ত নিনাদিত,—ঐ যে তমস্বিনী রজনীতে অসংখ্য হীরকখণ্ড সদৃশ তারকাবলী উদয় হইয়া অপূৰ্ব্ব শোভা বিস্তার করিতেছে,—ঐ যে নীয়ুগগণে স্বৰ্য্য সঞ্চরণশীল হেম থালের ন্যায় অপূৰ্ব্ব শোভায় উদয়াস্ত হইতেছে,—ঐ যে সপ্তবর্ণ ইন্দ্রধন্থ স্বন্দর রঙ্গে শোভা পাইতেছে,—ঐ যে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বর্ণী নানাবিধ মনোহর পরিচ্ছদ ধারণ করতেছে