পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়েছিলুম। মানুষের ইতিহাসে আর কোথাও আনন্দ ও আশার স্থায়ী কারণ দেখি নি। জানি প্রকাণ্ড একটা বিপ্লবের উপরে রাশিয়া এই নবযুগের প্রতিষ্ঠা করেছে কিন্তু এই বিপ্লব মানুষের সব চেয়ে নিষ্ঠুর ও প্রবল রিপুর বিরুদ্ধে বিপ্লব— এ বিপ্লব অনেকদিনের পাপের প্রায়শ্চিত্তের বিধান। আর আজ যুরোপের যে সভ্যতার পিঞ্জরে বাধা হয়ে আছি আমরা, ঐশ্বৰ্য্যভোগের বিষবাষ্প তার তলায় তলায় জমে উঠেছে। সে কি নিরাপদ প্রতাপের কোনো মন্ত্রের সন্ধান খুজে পেয়েছে তার লোহার ক্যাশবাক্সের মধ্যে ? অনেক বড়ো বড়ো জাত লুপ্ত হয়েছে, অনেক উদামগতি ইতিহাস হঠাৎ পথের মাঝখানে মুখ থুবড়ে পড়ে স্তব্ধ হয়েছে, আর আমরাই যে White Paperএর ক্ষুদকুড়ো খুটে খুটে খেয়ে চিরকাল টিকে থাকব এমন আশা করি নে— মরণদশার অনেক লক্ষণ তো দেখতে পাই। কিন্তু সৰ্ব্বমানবের তরফে তাকিয়ে যখন ভাবি তখন এ কথা মনে আপনি আসে যে, নব্যরাশিয়া মানবসভ্যতার পাজর থেকে একটা বড়ো মৃত্যুশেল তোলবার সাধনা করচে যেটাকে বলে লোভ । এ প্রার্থনা মনে আপনিই জাগে যে, তাদের এই সাধনা সফল হোক। তুৰ্দ্ধর্ষপ্রতাপ জরাসন্ধের কারাগার থেকে শ্ৰীকৃষ্ণ যেমন বহু কালের বহু বন্দীকে মুক্তি দিয়েছিলেন তেমনি ধনমদমত্ত সভ্যতার বিরাট কারাগারে শৃঙ্খলবদ্ধ অসংখ্য বন্দী যেন একদা মুক্তি পায়। ভারতবর্ষের উত্তর পশ্চিম প্রদেশ ঘুরে অবশেষে ফিরে এলাম আপন কুলায়ের কোণে । ভারতে দেখলুম আলোহীন, وی 8 (د