পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্রোতস্বিনীর পরিচয় দিয়েছ তার সঙ্গে আমার দূরবিহারী নিঝরের কোথাও একটা মিল আছে তো । মিল নেই পাকেবোজা এদো ডোবার সঙ্গে । কেননা সে একেবারে বোবা, একেবারে অন্ধ, প্রাণধারার নাড়ীর গতির সঙ্গে তার নিশ্চল রুগণ পঙ্গুতার কোনোখানে যোগ নেই। একেই যদি আধুনিক কাব্যের চলৎস্রোতে ভাসিয়ে আনতে হয় তা হলে অপেক্ষা করতে হবে “ভরা বাদর মাহ ভাদরের” । বর্ষার প্লাবন বয়ে যাক পঙ্কপিণ্ডের উপর দিয়ে, চিংড়ি মাছের বাসাগুলোয় বিপ্লব ঘটিয়ে, পিছল ঘাটে এটাে বাসন মাজার ঝংকারে ঝংকারে কল্লোল মিলিয়ে, উছলে-ওঠা ঢেউগুলোতে গোয়ালঘরের গোবরগাদা লেহন করে, পিঠে পিঠে মাথা রাখা মোষগুলোকে পঙ্কক্লিন্ন জলে অবগাহনের তৃপ্তি দিয়ে N এই সমস্ত কিছুর সঙ্গেই মিল করে থাকবে বাম্পাচ্ছন্ন আকাশ, মেঘের গর্জন, আর ঝিমঝিম বৃষ্টি। এই পেকে বন্যায় আকাশে ঘোলা জল ছিটিয়ে কবির ছন্দ যেন অনায়াসে নৃত্য করে উলঙ্গ শিশুর মতো। বুড়োবয়সের স্পর্ধিত নগ্নতা চিৎকার স্বরে নিজের আধুনিকতা ঘোষণা ক’রে অবিমিশ্র পঙ্কসভায় নাচতে যদি আসে তা হলে পুলিসে খবর দেওয়া দরকার হবে।” অমিয়কে যা লিখেছি তার মোদা কথাটা এই যে আমাদের সকল অভিজ্ঞতার সঙ্গে এমন অনেক কিছু মিশতে থাকে যাকে আমরা ইচ্ছে করে সরিয়ে রেখে দিই ; কিন্তু আমাদের অবচেতন মন তাকে গ্রহণ করে, সব জড়িয়ে নিয়েই আমাদের উপলব্ধির বাস্তবতা। আমাদের অনুভূতিতে সেই অগোচরের \ごやタWり