মাটীতে বসিয়া কাজ করার ও পক্ষপাতী। তবে আমাদের মত বসে না, –হাঁটু পাতিয়া বসার মত বসে।
এই খানেই চীনে হোটেলের কথা বলিয়া রাখি। হংকং সহরে চীনেদের একটা হোটেলে আমি গিয়াছিলাম। সেখানে অনেক নূতন জিনিষ এবং নূতন প্রথা দেখিলাম। চীনে হোটেল গলি-ঘুজিতে। আমি যে হোটেলের কথা বলচি, এ হোটেলটি খুব বড়; সহরের মধ্যে জনতাপূর্ণ একটী স্থানে অবস্থিত এবং যারপর নাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। হোটেল লোকে লোকারণ্য। অনবরত লোক ঢুকিতেছে ও বাহির হইতেছে। দরজায় চীনেম্যান কেরাণীরা লোকের হিসাব রাখিতেছে। ইউরোপীয় বা অন্য জাতীয় কর্ম্মচারী কেহই নাই। হোটেলটি দু ভাগে বিভক্ত; একভাগে সাহেবী রকমের খানা হয়, অপর দিকে চীনে বকমের; শেষোক্ত ধারেই ভিড় বেশী।
হংকং সহরের একজন চীনে গৃহস্থের সঙ্গে আমার আলাপ হয়। সেই আমাকে খাওয়াইবার জন্য হোটলে আনে। আমার দেখা মাত্র উদ্দেশ্য ছিল। যেদিকে চীনেম্যানের খাওয়া হয়, সেই দিকটিই আমার ভাল লাগিল। তৎপরে হোটেলের অপর দিকেও গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সাজান ঘরগুলি বিশ্রী অশ্লীল ছবিতে পরিপূর্ণ। চীনেম্যানরা ব্রাণ্ডী,হুইস্কী প্রভৃতি তেজস্কর মদ পান করে না। আফিমসেবিদের ওসব বড় সহ্য হয় না; কারণ আফিমে আলস্য আসে ও মদে উত্তেজনা বাড়ায়। তাই তারা নেহাত ক্ষীণবল বিয়ার রম প্রভৃতি মদ্য ভালবাসে। তাও আবার অর্দ্ধেক লিমনেড মিশিয়ে পান করে। এরূপ মদ খাওয়া দেখে আমি আর হেসে বাঁচি না। আর ইহাদের ‘চাট’ কুমড়ার বিচি ভাজা, শসাসিদ্ধ ও সর্ব্বতীনেবু। আহারের সময় খাদ্যদ্রব্যের ছিবড়ে কাঁটা ইত্যাদি সেই ধোপ দেওয়া টেবিলঢ়াকা কাপড়ের উপরেই ফেলিতে হয়; আহারান্তে সব শুদ্ধ চাদরখানি উঠিয়ে 珍