মাছ ভাতই ব্রহ্ম, চীন, জাপান প্রভৃতি দেশের প্রধান খাদ্য। বর্ম্মা দেশে পচা মাছ চাটনির মত ব্যবহৃত হয়; তাহাকে 'নাপ্পি’ বলে। 'নাপ্পি' বর্ম্মানেরা অতি উপাদেয় সামগ্রী বলিয়া বোধ করে। রাঁধা ভাত ও তরকারী ফেরি করিয়া বিক্রয় করে। আমাদের দেশের মত রাঁধা খাদ্যদ্রব্য অস্পৃশ্য 'সকড়ি’ বলিয়া বিবেচিত হয় না। বর্ম্মাবাসীরা সচরাচর মাটিতে উপু হইয়া বসিয়া হাত দিয়া আহার করে। চীনের প্রথা,—টেবিলে বসিয়া ‘চপষ্টিক’ দিয়া আহার করা। আহারান্তে ব্রহ্মবাসীর আমাদের মত হস্তমুখ প্রক্ষালন করে। আহারের সহিত পানীয় দ্রব্যের ব্যবস্থা ওসব দেশের কোথাও নাই। সকলেই সময়ান্তরে চা খায়। দুগ্ধ-পান কেহ করে না। চুরট বা তদ্রূপ কোন না কোন দ্রব্য সর্ব্বত্রই ব্যবহৃত হয়। স্ত্রী-পুরুষ উভয়েই ধূমপান করে। সাধারণ যে চুরট ব্যাবহার করিতে দেখা যায়, সে চুরট খুব মোটা ও বড়। এত মোটা যে মুখে ধরিতে কষ্ট হয়। বর্ম্মা ও মালয়ের লোক পান-সুপারি খায়। আফিং-সেবন জাপান ছাড়া অল্পবিস্তর সকল দেশেই প্রচলিত।
স্ত্রীলোকের চুল রাখা সকল দেশরই প্রথা, তবে মঙ্গোলিয়ান জাতির মত অত চুলের আদর আর কোন জাতিই জানে না। তাদের যেমন গোঁফ-দাড়ি প্রভৃতির স্থানে চুল বড় জন্মে না, তেমন মাথায় চুল খুব লম্বা ও সোজা হয়। পৃথিবীর আর কোন জাতিই ইহাদের মত কেশের এত পারিপাট্য করে না। ইহারা চুলের সজ্জা লইয়াই সারাদিন ব্যস্ত।
বর্ম্মা দেশের পুরুষরাও বড় বড় চুল রাখে। তাহারা সব চুলগুলি ৱক্ষা করে। চীনেরা মাথার মাঝে লম্বা বিনানী রাখে মাত্র।
স্ত্রীলোকের পায়ে গহনা নাই, যা কিছু আছে কানে, হাতে;