পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পিনাঙ।
8৩

চতুর্দ্দিকস্থ পাহাড়ে তাহা কতবার ধ্বনিত হয়। তারই ভিতর কত রকমের গাছ সযত্নে রক্ষিত। ভারতবর্ষ চীন ও অষ্ট্রেলিয়ার বিবিধ জাতীয় গাছ রক্ষা করাই এই বাগানের প্রধান উদ্দেশ্য। পথগুলি উচুনীচু, পাহা’ড়ে পথের মত ক্রমে ক্রমে উচু হইয়া জলপ্রপাতেৰ দিকে গিয়াছে। খানিকদূর গিয়া দূর হইতে জলপ্রপাতটি দেখা গেল। স্তুপাকার জলরাশি পর্ব্বতশিখর হইতে প্রায় ১০০ ফিট নীচে পড়িয়া ফেনা দোলাইতে দোলাইতে সবেগে প্রবাহিত হইয়া চলিয়াছে। খানিক দূর গিয়া সেই সকল জল-তরঙ্গ, উপরে সেতু ও নীচে বাধান পথের মধ্যে দিয়া শৈবালদল কাঁপাইয়া মুদুমন্দ গতিতে চলিয়াছে। চারি পাশে সে দেশের গাছ; গাছগুলি সব সতেজ। এক পাশে আমাদের দেশের চম্পকও দেখিলাম; কিন্তু উহা তত স্ফুর্ত্তি পায় নাই। আমাদের দেশের তেঁতুল গাছগুলি ছোট ছোট, ফল ও তদ্রূপ। হবেই তো, বিদেশে, অস্থানে হাজার চেষ্টা করিলেও জীবনীশক্তি স্বদেশের মত তেমন স্ফুর্ত্তি পায় না। তবে (Orchid) “অরকিড্” গুলি খুব বড়। একপ্রকার পতঙ্গভোজী গাছ আছে, তাহাকে (Pitcher plant)"পিচার প্ল্যাণ্ট্” বলে। সে গাছের “ফুল"গুলি অতি বৃহৎ ও যে যন্ত্রগুলির সাহায্যে গাছটি মাছি ধরিয়া খায়, সে যন্ত্রগুলিতে মশা মাছির কঙ্কালপূর্ণ। (Fruit Dhurion) “ঢুরিয়ান” ফল দেখিতে ঠিক আমাদের কাঁঠালের মত, দুই একটা গাছে ফলিয়াও ছিল; কিন্তু উহা হইতে একরূপ বিকট গন্ধ নিৰ্গত হইতেছিল। ব্রহ্ম, মালয় ও চীনবাসিগণ এই ফলের কিন্তু বিশেষ আদর করিয়া থাকে।

 পূর্ব্বেই বলিয়াছি, বটানিক্যাল গার্ডেনটী সহর হইতে প্রায় ৪ মাইল দূরে। তাহার নিকটবর্ত্তী স্থানে অনেক পল্লীর দৃশ্য দেখা যায়। দরিদ্র গৃহস্থদের ক্ষুদ্র চালা-ঘরের দুয়ারে গরু বাঁধা। অল্পেতেই তুষ্ট