পাতা:চেনা দায় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
দারােগার দপ্তর, ৮৪ম সংখ্যা।

 “তালিকায় যে দাম লেখা আছে, তাহা অপেক্ষা উহাতে অধিক মূল্যের স্বর্ণ আছে জানিতে পারিয়া, আমি বছিরুদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “তালিকার লিখিত মূল্য অপেক্ষা ইহার মূল্য অধিক হইতেছে কেন?”

 “উত্তরে বছিরুদ্দিন কহিল, “যে সময় সেই সকল দ্রব্য অপহৃত হইয়াছে, সেই সময় অপেক্ষা যে সময় সেই সকল অলঙ্কার প্রস্তুত হইয়াছিল, সেই সময় সুবর্ণের মূল্য অনেক কম ছিল। সুতরাং পুলিস তালিকা প্রস্তুত করিবার সময় যে মূল্যের সুবর্ণ দ্বারা উহা প্রস্তুত হয়, সেই মূল্যই তালিকাতে লিখিয়া লইয়াছে; সুতরাং এখন তাহার দাম আরও অধিক হইবেই ত। এরূপ অবস্থায় দেখিতেছি, আমাদিগের আরও কিছু অধিক লাভ হইবার সম্ভাবনা। কিন্তু যাহার নিকট সেই সমস্ত অলঙ্কার আছে, একথা তাহাকে বলিবার কিছুমাত্র প্রয়োজন নাই।”

 “এইরূপে অলঙ্কারখানি যাচাইয়া দেখিয়া আমরা উভয়েই অতিশয় সন্তুষ্ট হইলাম, এবং টাকার সংগ্রহ করিবার মানসে আপন স্থানে প্রস্থান করিলাম।

 “আমি যে পাঁচ হাজার টাকার কথা বলিয়াছিলাম, তাহা সংগ্রহ করিয়া তাহার পরিবর্ত্তে পাঁচখানি হাজার হাজার টাকার নোট আনিয়া আমার নিকট রাখিয়া দিলাম।

 “পরদিবস লন্ধ্যার পূর্ব্বেই বছিরুদ্দিন আসিয়া উপস্থিত হইল ও আমাকে কহিল, “আমি দুই সহস্র টাকাই সংগ্রহ করিয়া তাঁহাকে প্রদান করিয়া আসিয়াছি। সন্ধ্যার পর অবশিষ্ট টাকাগুলি সংগ্রহ করিয়া তাঁহার নিকট লইয়া আসিব, এইরূপ বন্দোবস্ত ঠিক করিয়া আসিয়াছি।”