পত্র পাঠ করিবার জন্য আমারও কৌতুহল জন্মিল। আমি পাঠ করিলাম,—
“মহাশয়!
“আমি ভাল লেখাপড়া জানি না। ভুলভ্রান্তি মাপ কর্বেন। কি খেলাই আজ খেলেছেন। প্রথমে আমি সত্যই মনে করেছিলাম, শেষে আপনার মুখ ভাল করে দেখে আমার সন্দেহ হয়।
“আপনি যখন চলে যান, আপনার পশ্চাতে দরোয়ান পাঠাই। সে আমায় আপনার সন্ধান এনে দেয়। আমি আপনার মৎলব বুঝ্তে পারি। ঐ দিনেই আমার স্বামীর দেশে যাবার কথা ছিল। কিন্ত ইচ্ছা আছে, আপনার সঙ্গে শেষ দেখা না ক’রে যাব না।
“ইচ্ছা ছিল, ছবিখানি নিয়ে যাই। কিন্ত, শেষে মনে কর্লাম—না। যার জন্য কলিকাতার বিখ্যাত গোয়েন্দা আমার পাছু নিয়েছে, সেটা রেখে যাওয়াই উচিত। কিন্ত মনে কর্লে আপনাকে হতাশ কর্তে পার্তাম।
“আর এককথা। এ ছবিতে আর আমার কোন প্রয়োজন নাই। ও পাপ আমার গৃহে না থাকাই ভাল। যে আমায় ভালবাসে, আমি যাকে প্রাণ অপেক্ষা ভালবাসি, এখন তার রূপ চিন্তা কর্তেই সময় কুলাইবে না;—অন্য ছবি লইয়া কি করিব? আমার নিজের একখানি ছবি রাখিয়া যাইতেছি। যদি কুমার বিদ্যুৎপ্রকাশ ইচ্ছা করেন, গ্রহণ করিবেন, নচেৎ আগুনে পুড়াইয়া ফেলিবেন। ইতি—