পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দোলানো, স্নিগ্ধ ছায়াভিরা সেই প্ৰাচীন দিনের পথটা দিয়া সে নিজে মোটরে চড়িয়া যাইতে পরিবে না। কখনই । এদেশের সঙ্গে পেট্রোল গ্যাসের গন্ধ কি খাপ খায় ? রাণুদিদির সঙ্গে দেখা হইল পরদিন বৈকালে। সাক্ষাতের পূর্বইতিহাসটা কৌতুকপূৰ্ণ, কথাটা রানীর মুখেই শুনিল । রানী অপু আসিবার কথা শুনে নাই, নদীর ঘাট হইতে বৈকালে ফিরিতেছে, বাশবনের পথে কাজল দাড়াইয়া আছে, সে এক গ্রামে বেড়াইতে বাহির হইয়াছে। " রানী প্ৰথমত থতিমত খাইয়া গেল-অনেককাল আগেকার একটা ছবি অস্পষ্ট মনে পড়িল-ছেলেবেলায় ওই ঘাটের ধারের জঙ্গলে-ভরা ভিটাটাতে হারিকাকার বাস করিত, কোথায় যেন তাহারা উঠিয়া গিয়াছিল তারপরে। তাদের বাড়ির সেই অপু না ? --ছেলেবেলায় সেই অপু ? পরীক্ষণেই সামলাইয়া লইয়া সে কাছে গিয়া ছেলেটির মুখের দিকে চাহিল—অপুও বটে, নাও বটে। যে বয়সে সে গ্রাম ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছিল তার সে সময়ের চেহারাখানা রানীর মনে আঁকা আছে, কখনও ভুলিবে না-সেই বয়স, সেই চেহারা, অবিকল । রানী বলিল—তুমি কাদের বাড়ি এসেছি খোকা ? কাজল বলিল-গাঙ্গুলীদের বাড়ি— রানী ভাবিল, গাঙ্গুলীরা বড়লোক, কলিকাতা হইতে কেহ কুটুম্ব আসিয়া থাকিবে, তাদেরই ছেলে। কিন্তু মানুষের মতও মানুষ হয় ? বুকের ভিতরটা ছাত করিয়া উঠিয়াছিল একেবারে। গাঙ্গুলী বাড়ির বড় মেয়ের নাম করিয়া বলিল-তুমি বুঝি কাদুপিসির নাতি ? কাজল লাজুক চোখে চাহিয়া বলিল-কাদুপিসি কে জানি নে তো ? আমার ঠাকুরদাদার এই গায়ে বাড়ি ছিল—তার নাম ঈশ্বর হরিহর রায়-আমার নাম শ্ৰীঅমিতাভ রায় । বিস্ময়ে ও আনন্দে রানীর মুখ দিয়া কথা বাহির হইল না। অনেকক্ষণ । সঙ্গে সঙ্গে একটা অজানা ভয়ও হইল । রুদ্ধনিশ্বাসে दलिव्ज-(ऊभन्न दांबां-6थांक ?· brs