পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্ম ষ্টুয়াট মিলের জীবনবৃত্ত । تا ر " কাৰ্য্য হইতাম, তথাপি সবিশেষ চেষ্টা করায় আমার চিন্তা শক্তি অচিরকাল মধ্যেই অতিশয় উদ্বোধিত হইয়া উঠিল। - “আত্ম-গরিমা বাল-পাণ্ডিত্যের ছনির্বাৰ্য্য সহচর। ইহার সাহচর্য্যে অনেকের ভাবি উন্নতির আশা একেবারে সমূলে বিনষ্ট হইয়া থাকে। পিতা আমাকে এই ভীষণ সহচরের হস্ত হইতে সতত রক্ষা করিতেন । অন্যের সহিত আমার উৎকর্ষ স্বচক তুলনা বা প্রশংসাবাদ যাহাতে আমার কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট না হয়, পিতা তদ্বিষয়ে সতত চেষ্টা করিতেন । তাহার সহিত আমার যে কথোপকথন হইত, তাহা হইতে নিষ্ট্রের উপর কোন উচ্চ ভাব আমার মনে আসিতে পারিত না ; বরং আপনাকে অতি নীচ বলিয়াই বোধ হইত। তিনি আমার সম্মুখে যে উৎকর্ষের আদর্শ ধারণ করিতেন, তাহা সাধারণ লোকের উৎকর্ষের আদর্শ নহে । যতদূর উৎকর্ষ লাভ মনুষ্যের সাধ্যায়ত্ত ও যতদূর উৎকর্ষ লাভ মনুষের অবশ্য কৰ্ত্তব্য, ইহা সেই উৎকর্ষেরই আদর্শ। সুতরাং আমি কখন জানিতে পারি নাই যে আমার বিদ্যা ও জ্ঞান বড় সাধারণ নহে। তিনি প্রায় আমাকে কোন রালকের সহিত মিশিতে দিতেন না। যদি ঘটনাক্রমে কোন বালকের সহিত আমার সাক্ষাৎ হইত, এবং কথোপকথন দ্বারা তাহার বিদ্যা বুদ্ধি আম অপেক্ষ অনেক নূ্যন বলিয়া প্রতীতি জন্মিত, তাহা হইলেও কখন আমার মনে হইত না, যে আমার জ্ঞান ও বিদ্যা অসাধারণ । কেবল এই মাত্র বোধ হইত যে কোন বিশেষ প্রতিবন্ধক বশত:ই সেই বালকই কেবল রীতিমত শিক্ষা পায় নাই। আমার মনের অবস্থা কখন বিনীত ছিল না বটে, কিন্তু কখন উদ্ধতও ছিল না। আমি কখন চিন্তাতেও আপন মনে বলি নাই যে আমি এত বড় লোক বা আমি এত মহৎ মহৎ কার্য্য সংসাধন করিতে পারি। আমি আপনাকে কখন উচ্চ বলিয়া ভাবি নাই, কখন নীচ বলিয়াওঁ ভাবি নাই—অধিক কি আমি আপনার বিষয় কিছুই ভাবি নাই বলিলেও হয়। আমি যদি কখন আপনার বিষয় কিছু ভাবিয়া থাকি সে এই মাত্র—যে আমি পাঠন দ্বারা কখন পিতার সন্তোষ জন্মাইতে পারিলাম না— সুতরাং আমি শুনায় আপনাকে উৎকৃষ্ট বলিতে পারি না ! चामाद